অনেকে মনে করেছিলেন এরশাদের মৃত্যুর পর পার্টি ভেঙ্গে যাবে : কাদের

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি বলেছেন, জাতীয় পার্টি একটি সম্ভাবনাময় দল। আগামী দিনের রাজনীতিতে জাতীয় পার্টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। অনেকে মনে করেছিলেন এরশাদের মৃত্যুর পর জাতীয় পার্টি ভেঙ্গে যাবে। আল্লাহর রহমতে তা হয়নি। আমাদের মাঝে সাময়িক কিছুটা ভূল বুঝাবুঝি হয়েছিল। তিনি সকল বিভেদ ভুলে দলকে আরো শক্তিশালী করতে সবার প্রতি আহবান জানিয়েছেন।

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে পার্টির ঢাকা বিভাগীয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক টিমের আহ্বায়ক সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি’র সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব প্রেসিডিয়াম সদস্য আলমগীর সিকদার লোটনের উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মানিকগঞ্জ জেলা সভাপতি সৈয়দ আব্দুল মান্নান, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা জেলা সভাপতি এ্যাড. সালমা ইসলাম এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, এ্যাড. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও গাজীপুর মহানগর সভাপতি আব্দুস সাত্তার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক ও ভাইস-চেয়ারম্যান জহিরুল আলম রুবেল, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু।

এসময় অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নোমান, ড. নুরুল আজহার, ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফিক, মোস্তফা আল মাহমুদ, যুগ্ম মহাসচিব মনিরুল ইসলাম মিলন, ইসহাক ভূঁইয়া, সুলতান মাহমুদ, এম.এ. রাজ্জাক খান, মিজানুর রহমান মিরু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী মাহাবুবুল আলম দুলাল পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের হাতে ফুল দিয়ে জাপায় যোগদান করেন।

জিএম কাদের বলেন, দেশে ও মানুষের সকল ইস্যুতে আমরা রাজনীতির মাঠে থাকবো। তাই দলের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে হবে। সুসংহত করতে হবে পার্টিকে। সকল বিভেদ ভুলে সামনে এগিয়ে চলার সময় এখন। তিনি বলেন, আগামী জাতীয় কাউন্সিলের আগেই অসমাপ্ত জেলার সম্মেলেন শেষ করতে হবে। সেজন্য আমরা বিভাগীয় কমিটি গঠন করে দিয়েছি। তাদের মতামতের ভিত্তিতেই জেলা কমিটি অনুমোদন দেয়া হবে। আগামী কাউন্সিলে নতুন নেতৃত্ব গড়ে উঠবে। আমাদের ঘর খালি নয়, কেউ ঘুমিয়ে আছে অথবা মনের কষ্টে দুরে সরে আছে। সকাউন্সিলের পর আমাদের ঘর পরিপূর্ণ হবে।

মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, পার্টির ভাঙ্গন ঠেকাতে আমরা সবাই একযোগে কাজ করেছি। রংপুর-৩ আসন জাতীয় পার্টির। ১৯৯৬ সালের পর থেকে এই আসনে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ নির্বাচন করেছেন। এই আসনে জোটগতভাবে নির্বাচন করেছি আমরা। বিভিন্ন আসনে আওয়ামীলীগকে আমরা সমর্থন দিয়েছি, আশা করছি এই আসনে সরকারও আমাদের সমর্থন দেবে। তিনি বলেন, রংপুর-৩ আসনে আমরা সবাই চেয়েছি এরশাদ পরিবার থেকে একজন এমপি হোক। সবার সিদ্ধান্তেই সাদকে এখানে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। সাদকে জেতাতে যদিও আমরা নিজেরাই এনাফ। তারপরও আশা করছি সরকার এ বিষয়ে আমাদের সহযোগীতা করবে। রংপুর-০৩ আসনে সাধারণ ভোটাররা উৎসব মূখর পরিবেশে লাঙ্গল প্রতিকে ভোট দেবেন। রাঙ্গা বলেন, সামনে অনেক পরিবর্তন হবে। অনেকে যোগদান করবে। প্রয়োজনে প্রেসিডিয়ামের সংখ্যা একশ’ হবে। এরপর সিনিয়রদের ২১ সদস্য স্টিয়ারিং কমিটি করা হবে। তারা দলের নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত নেবে।

তিনি বলেন, আমার চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। এরশাদ আমাকে তিনবার বহিস্কার করেছিলেন। কর্মীরা না চাইলে কালকেই আমি মহাসচিব পদ থেকে পদত্যাগ করতে প্রস্তুত।

সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেন, রওশন এরশাদ ও জিএম কাদের এক ও অভিন্ন। তাদের ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্বে জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতার দ্বারপ্রান্তে নেয়ে যাবে।

Share this post

scroll to top