ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলায় পৃথক দুটি ঘটনায় দুটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম স্বর্ণা আক্তার (১৪)।
এদের একজন সদর ইউনিয়নের কামারডাঙ্গী গ্রামের মৃত মোন্নাফ বেপারীর ছোট মেয়ে স্বর্ণা আক্তার। সে চরভদ্রাসন উপজেলার রোকনউদ্দিন সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
নিহত স্বর্ণার বোন বর্ণা আক্তার (২৩) জানান, শনিবার বিকেলে বাড়ির কাছে পদ্মা নদীতে নৌকা বাইচ দেখতে যান তারা। তবে স্বর্ণা শরিরের অসুস্থ্যতার কথা বলে বাড়িতেই ছিল। সন্ধ্যার দিকে বাড়ি ফিরে দেখি দোচালা ঘড়ের আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় স্বর্ণার লাশ ঝুলছে। প্রতিবেশিরা এসে ঘড়ের দরজা ভেঙ্গে তাকে চরভদ্রাসন হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন।
চরভদ্রাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ বলেন, পুলিশ স্বর্ণার লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
পৃথক ঘটনায় গাজিরটেক ইউনিয়নের হাজিগঞ্জ বাজারের পাশে পদ্মা নদীর উত্তর-পূর্ব ডুবোচর হতে এক তরুণীর গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার পরিচয় জানা যায়নি। বয়স আনুমানিক ২৪/২৫ বছর। সকালে স্থানীয়রা লাশটি ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়।
চরভদ্রাসন থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) খাইরুল ইসলাম লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। লাশটি প্রায় এক মাস আগের হবে বলে পুলিশের ধারণা। অজ্ঞাতনামা এই লাশটির ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।