দাবিকৃত চাঁদার টাকা না পেয়ে এক প্রবাসীর বাড়িতে ভাংচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে সদর উপজেলার বেশাইন খান গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে ১১টি মোটরসাইকেল জব্দ করেছে। এসময় পুলিশের সাথে দুর্বৃত্তদের ধস্তধস্তি হয়। এতে এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।
পুলিশ ও ক্ষতিগ্রস্তরা জানায়, বেশাইন খান গ্রামের সোহরাব মোল্লার ছেলে সাইফুল ইসলাম মোল্লা দীর্ঘ দিন ধরে ডুবাই থাকেন। সম্প্রতি তিনি পরিবার পরিজন নিয়ে থাকার জন্য গ্রামে একটি পাকা ভবন নির্মাণ করেন। ভবন নির্মাণের সময় স্থানীয় কয়েকজন যুবক ফোন করে তার কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দিলে ভবন করতে দেয়া হবে না। হুমকি উপেক্ষা করেও তিনি ভবনটি নির্মাণ করেন। বর্তমানে ঘরে বাবা মা ও পরিবারের অন্যরা বসবাস করেন। ঘরের সামনে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। চাঁদার টাকা না পেয়ে একদল দুর্বৃত্ত সকাল ১১টার দিকে তাদের বাড়িতে প্রবেশ করে।
এদের মধ্যে দুইজন গিয়ে প্রথমে সিসি ক্যামেরা খুলে ফেলেন। পরে অন্যরা মোটরসাইকেলে এসে দেশিয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে ঘরের সামনে ভাংচুর করে। তারা ঘরের ভেতর সাজসজ্জার বাতি ভেঙে ফেলে। এসময় প্রবাসীর পরিবারের সবার মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তারা থানায় ফোন করলে পুলিশ গিয়ে হামলাকারীদের ধাওয়া করে। এসময় হামলাকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তধস্তি হয়। এতে এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। পরে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গেলে হামলাকারীরা চলে যায়। ঘটনাস্থল থেকে হামলাকারীদের ১১টি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।
প্রবাসী সাইফুলের বাবা সোহরাব মোল্লা অভিযোগ করেন, হামলাকারীদের হাতে অস্ত্র ছিল। যার ফলে কেউ সামনে বের হয়ে প্রতিবাদ করতে সাহস পাইনি। এদের মধ্যে অনেককে দেখলে চিনতে পারবো। আমার ছেলের কাছে তারা এক লাখ টাকা চাঁদা চেয়েছিল। সেই টাকা না দেয়ায় তারা হামলা ভাংচুর করেছে। এর পরেও টাকা না দিলে তারা আমাদের মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে গেছে। এ ঘটনায় আমরা থানায় মামলা দায়ের করবো।
ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) এম এম মাহমুদ হাসান বলেন, যারা হামলা করেছে, তাদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। ক্ষতিগ্রস্তরা অভিযোগ দিলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।