নেত্রকোনার সীমান্তবর্ত্তী সুসং দুর্গাপুর উপজেলায় নিঁখোজের চারদিন পর সায়েদুল ইসলাম (২৭) নামে এক তরুণ অটোরিকশা চালকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে উপজেলার মিনকিফান্দা হাজংপাড়া বান্দর টিলার উপর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত সায়েদুল ইসলাম উপজেলার কাকৈরগড়া ইউনিয়নের পশ্চিম বিলাশপুর গ্রামের মৃত সদর আলীর ছেলে বলে জানা যায়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার সকালে সাইদুল ইসলাম তার শ্বশুরবাড়ি বাকলজোড়া ইউনিয়নের গাভাউতা গ্রামে থেকে প্রতিদিনের ন্যায় অটোরিকশা নিয়ে বিরিশিরি-কুমুদগঞ্জ ভায়া ডেওটুকুন এলাকায় ভাড়ার জন্য বের হয়ে যায়। প্রতিদিন তিনি রাত ৭ বা ৮টার সময় বাড়ি ফিরে আসলেও ওই দিন আর ফিরে আসেননি। বিলম্ব দেখে ওই দিন রাত ৮টার দিকে সায়েদুলের স্ত্রী তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল দেয়ার পর মোবাইল বন্ধ পায়। ব্যস্ত আছে ভেবে ২ ঘণ্টা পর আবারও একাধিকবার কল দেয়ার পরেও বন্ধ পাওয়ায় স্ত্রীসহ পরিবারের সকলে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। পরদিন মঙ্গলবার নিখোঁজ সায়েদুলের বড় ভাই মোঃ হাদিস মিয়া দুর্গাপুর থানায় একটি জিডি করেন।
শুক্রবার সকালে উপজেলার মেনকি কান্দা বান্দর টিলার উপরে লোকজন জ্বালানি কাঠ কাটতে গিয়ে দুর্গন্ধ টের পান। কিছু দূর যাবার পর টিলার উপরে হাত পা প্লাস্টিক দিয়ে ও গায়ের শার্ট দিয়ে মুখ বাধা অবস্থায় অর্ধগলিত লাশ দেখতে পেয়ে থানায় সংবাদ দেন তারা। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে লাশ প্রেরণ করে।
সুসং দুর্গাপুর থানার ওসি মীর মাহাবুব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহত চালকের অটোরিকশাটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর হত্যার উদ্দেশ্য বোঝা যাবে। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।