বর্বরতার বিরুদ্ধে শহীদ আফ্রিদি এবং সমগ্র জাতি, পাকিস্তান সরকার ও পাকিস্তান সেনাবাহিনী কাশ্মিরিদের সাথে থাকবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক পাক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি।
শুক্রবার করাচিতে কায়েদ-ই-আজম সমাধীতে ‘কাশ্মীর আওয়ার’র সমাবেশে যোগ দেন আফ্রিদি। সেখানে এসব কথা বলেন এই সাবেক ক্রিকেট তারকা।
তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার আগে ভারত ও পাকিস্তানের সুসম্পর্ক ছিল।
প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের আবেদনে পাকিস্তানের সব জায়গায় ‘কাশ্মীর আওয়ার’ পালিত হয়। তিনি শুক্রবার দুপুর বারোটায় পুরো জাতিকে ছেড়ে দেয়ার জন্য এবং তাদের কাশ্মিরি ভাই-বোনদের প্রতি সংহতি জানাতে আধা ঘন্টা রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানান।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ইউনিফর্ম পরিহিত আফ্রিদি বলেন, ‘পাকিস্তান ভারতের সাথে দ্বন্দ্ব চায় না, পুরো জাতি এবং দেশের শান্তি চায়; কিন্তু মোদির সরকারের এমন কিছু চায় না।
তিনি বলেন, “সমস্ত ভারতীয় নয়, আপনি (নরেন্দ্র মোদী) এবং আপনার অনুসারীরা বিশ্বের কাছে ভারত রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বিকৃত করেছেন। ভারতে শিক্ষিত-ভালো মানুষও আছে, যারা ভালো পরামর্শ দেন, তাদের কথা শোনেন।”
এই ক্রিকেটার ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর কথা উল্লেখ করে বলেন, দুই প্রতিবেশী দেশ তার আমলে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখেছিল।
“এই যুগ ও সময় যুদ্ধের নয়, আমরা এবং আমাদের প্রধানমন্ত্রী দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি করার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আপনার [নরেন্দ্র মোদী] থেকে কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। “আমি বিশ্বাস করি যে, আপনি সেখানে (কাশ্মিরে) মহিলা ও শিশুদের সাথে যেভাবে ব্যবহার করছেন, এই বর্বরতার বিরুদ্ধে শহীদ আফ্রিদি এবং সমগ্র জাতি, পাকিস্তান সরকার ও পাকিস্তান সেনাবাহিনী তাদের সাথে থাকবে।
তিনি নিজের পোশাকের দিকে ইঙ্গিত করতে গিয়ে আফ্রিদি বলেন, “আমি যে ক্যাপ এবং শার্ট পরেছি, আমি এ দেশের একজন সৈনিক এবং আমি এই দেশের একজন সৈনিক থাকব।”
আফ্রিদি শেষ কথা বলেন, পাকিস্তানি জাতিকে সর্বদা ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এবং সর্বদা বিপদ দেখার জন্য অপেক্ষা নয়, তার আগেই ঐক্যদ্ধতা দেখাতে হবে।
‘পাকিস্তানের জনগণের কাছে আমার একটি বার্তা রয়েছে, সর্বদা কোনও দুর্যোগের ঘটনার জন্য অপেক্ষা করবেন না, আমাদের উচিত, সরকার, বিরোধী এবং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
ভারত তাদের সংবিধান থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ সরিয়ে কাশ্মিরিদের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয়। এর পর থেকে কাশ্মিরের অবস্থা হয়ে ওঠে ভয়াবহতার দিকে।