কারো কোনো ভালো খবর পেলেই হলো। বন্ধুদের ডাক পড়বেই। একসাথে বিশাল আয়োজন করা হয় বন্ধুদের সে সুসংবাদটি দিতে। এ যেন এক আজানা রোমাঞ্চ।
এবারের সুখবর হচ্ছে বন্ধু ডা: দেওয়ান মো: ইমদাদুল হকের জাতিসঙ্ঘের পপুলেশন ফান্ডে (ইউএনএফপিএ) যোগদান। তো এমন খবর মোবাইল ফোন বা ফেসবুক বা ভাইভারে পোস্ট দিলেই হয়! বিনা ভোজে কি চলে! ধুম-ধারাক্কা আয়োজন ছাড়াই কি ছেড়ে দেয়া যায়!
যায় না বলেই জমজমাট আয়োজন করা হয় গতকাল শুক্রবার রাতে বনানীস্থ স্টার কাবাব রেস্টুরেন্টে। মাত্র দু’দিনের নোটিশে বন্ধুরা ছুটে আসে তাকে শুভেচ্ছা জানাতে। আর এ আয়োজনের পাশাপাশি জানিয়ে দেয়া হয় এটি ঈদ পুনর্মিলনীরও স্বাদ মেটাবে। এ ধরনের আয়োজনের দায়িত্বভার সব সময়ই বর্তায় ঢাকা কলেজের সতীর্থ ৮৫’র ব্যাচের শাহেদ আরী রিন্টুর ঘাড়ে। বেচারাও দায়িত্ব নেয় মহা আনন্দে।
তবে এমন আয়োজনের সাথে ডা: মো: এনামুল হক বা স্থপতি মঞ্জু বা ব্যবসায়ী টুটুল না থাকলে কি হয়! আর তাই এরা সবাই মিলে ফেসবুক আর ভাইভারে জানিয়ে দেয় এমন আয়োজনের কথা। আর যায় কোথায়, ছুটেও আসে প্রায় সবাই। ঈদের দু’দিন পর এমন ভাবে সবাই ছুটে আসা একটা সত্যিই বিস্ময়।
বিষয়টি ঢাকা কলেজের প্রাণের টানে ছুটে আসা আর-কি। রাত প্রায় এগারোটা পর্যন্ত চলল নানান গল্প-আলাপ। আর খাবার-দাবারের আয়োজন তো আছেই। এরই ফাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে দেয়া হলো ডা: দেওয়ান মো: ইমদাদুল হককে।
তবে খাবার-দাবারের মাঝে থেমে নেই নানান ধরণের চুটকি বলা। চুটকি আর ভিন্ন আমেজের গল্প বলা শেষে গানের আয়োজন থাকলে ভালো হতো এমন কথা কেউ চুপি চুপি আওয়াজ দিচ্ছিল। কারো কারো এমন আবদারে জানিয়ে দেয়া হলো ভবিষ্যতে আরেকজন বন্ধরু ভালো খবরের অনুষ্ঠানের গানের পাশাপাশি আরো কিছু আয়োজন থাকবে। এবার এতটুকুই।
উল্লেখ্য, ঢাকা কলেজের ৮৫’র ব্যাচের ছাত্রদের এ আয়োজন ২০১৬ থেকে নিয়মিতই হচ্ছে। আর সব আয়োজন থাকে উচ্ছ্বাস ভরা। তবে বন্ধুরা শুধু ভালো কোনো খবরেই এমন আয়োজন-ফূর্তি করে না। বন্ধুদের বিপদে-ব্যাথায় পাশেও দাঁড়ায় তারা। বাড়িয়ে দেয় সাহায্যের হাত।