কড়া নিরাপত্তায় শোলাকিয়ায় ঈদুল আযহার জামাত অনুষ্ঠিত

বরাবরের মতো এবারো কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় সর্ববৃহৎ ঈদজামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৯২ তম এ জামাতে লক্ষাধিক মুসল্লি একসাথে নামাজ আদায় করেন। পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে কড়া নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা। সকাল সাড়ে ৮টায় জামাত শুরু হয়।

ঈদগাহের নির্ধারিত ইমাম মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ হজে যাওয়ায় এবারের জামাতে ইমামতি করেন প্যানেল ইমাম শহরের মারকায মসজিদের ইমাম মাওলানা হিফজুর রহমান খান। শোলাকিয়া ঈদগাহের রেওয়াজ অনুযায়ী জামাত শুরুর আগে শটগানের গুলি ফুটিয়ে জামাত শুরুর ঘোষণা দেওয়া হয়। মুসল্লিদেরকে তল্লাশি করে মাঠে প্রবেশ করানো হয়।

এবারের ঈদে তিন স্তরে এবং ৮টি সেক্টরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয় বলে পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ জানিয়েছেন। এরমধ্যে ৩২ টি চেকপোস্ট, ১৭টি পিকেট, পুলিশ ও র‌্যাবের ৬টি ওয়াচ টাওয়ার, বোম্ব ডিসপোজাল টিম, মেটাল ডিটেক্টর, আর্চওয়ে, সিসি ক্যামেরা, ওপেন সার্কিট ক্যামেরা ছিল। দুই প্লাটুন বিজিবিও দায়িত্ব পালন করে। তাছাড়া সাদা পোশাকেও বিপুল সংখ্যক নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন ছিল। ৯ আগস্ট থেকেই নিরাপত্তা টিম দায়িত্ব পালন করে এ মাঠে। সুষ্ঠুভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য শোলাকিয়ায় ঈদের জামাতে ড্রোন উড়ানো হয়। ২০১৬ সালে সংঘটিত জঙ্গি হামলার কারণে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয় বলে পুলিশ সুপার উল্লেখ করেন।
শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ায় ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী সন্তুষ্টি প্রকাশ করে মুসল্লিদেরকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, শোলাকিয়ার ঐতিহ্য ধরে রাখতে হবে। এ ঐতিহ্য শুধু কিশোরগঞ্জের নয়, সারা বাংলাদেশের।

শোলাকিয়ায় এবারের ঈদুল ফিতরের জামাতে জেলা প্রশাসক সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আব্দুল্লাহ আল মাসউদ, র‌্যাব-১৪ সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার এম. শোভন খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল ইসলাম সোপান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির, কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পারভেজ মিয়াসহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা নামাজ আদায় করেন।

জামাত শেষে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ ও দেশের সমৃদ্ধি ও জনগণের কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করা হয়। তাছাড়া জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।

Share this post

scroll to top