গত ২৬শে জুলাই সিউলে দক্ষিণ কোরিয়ার কে-লিগের অলস্টারস একাদশের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলে সিরি আ চ্যাম্পিয়ন জুভেন্টাস। ম্যাচটি উপভোগ করেন ৬৬ হাজার দর্শক। প্রতিটি টিকিটের জন্য ৪ লাখ ওন (২৯৫ ইউরো) খরচ করতে হয়েছে তাদের। উত্তেজনাকর ম্যাচটি ৩-৩ গোলে ড্র হয়। কিন্তু যে আশা নিয়ে মাঠে গিয়েছিলেন দর্শকরা, সেটি পূরণ হয়নি। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর খেলার দেখতে পারেননি তারা। পুরো ম্যাচে বেঞ্চেই বসা ছিলেন পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী তারকা। রোনালদোকে কেন খেলানো হলো না, এ নিয়ে এবার আয়োজক এজেন্সির বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে সিউল পুলিশ।
জুভেন্টাস বনাম কে-লিগ অলস্টারসের মধ্যকার ম্যাচের আয়োজক দ্য ফাস্টা নামের একটি স্পোর্টস এজেন্সি।
যারা দর্শকদের আশ্বাস দিয়েছিল, অন্তত ৪৫ মিনিট খেলবেন রোনালদো। কিন্তু পেশীর অস্বস্তির কারণে রোনালদোকে আর মাঠে নামানো হয়নি। এর ব্যাখ্যা জানতে চেয়ে গত সপ্তাহে কে-লীগ কর্তৃপক্ষ জুভেন্টাসের কাছে চিঠি পাঠিয়েছিল। প্রতারণার অভিযোগ এনে জুভেন্টাসের পক্ষ থেকে ক্ষমাও প্রার্থনা করে কে-লীগ কর্তৃপক্ষ। তবে জুভেন্টাস তাদের অভিযোগ প্রত্যাখ্যাত করে। ক্লাবের চেয়ারম্যান আন্দ্রে অ্যাগনেলি বলেন, ‘ডাক্তারের পরামর্শেই রোনালদোকে বিরত রাখা হয়েছিল।’
এরপর গত বৃহস্পতিবার সিউল পুলিশ ম্যাচের আয়োজন দ্য ফাস্টা কোম্পানির অফিসে অভিযান চালায়। বার্তা সংস্থা এএফপিকে সিউল পুলিশ অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা ওই কোম্পানির অফিসে অভিযান চালিয়েছি। আমরা নিশ্চিত হতে চেয়েছি, জুভেন্টাসের সঙ্গে রোনালদোর খেলা নিয়ে দ্য ফাস্টা কোম্পানির সত্যিই কোনো চুক্তি হয়েছিল, নাকি দর্শকদের ঠকানোর জন্য মিথ্যা আশ্বাস দিয়েছিল তারা।’ তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত দ্য ফাস্টা কোম্পানির চেয়ারম্যান রবিন ঝ্যাং দেশের বাইরে যাওয়া নিষিদ্ধ করেছে সিউল পুলিশ।