বছরের শুরুতেই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ, তারপরে বিশ্বকাপসহ টানা চারটি লম্বা সফর! হাঁফিয়ে উঠছিলেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। টানা খেলার ধকল পড়ে সদ্য শেষ হওয়া শ্রীলঙ্কা সিরিজে। মাঠে তামিমদের শরীরি ভাষায়ও তা ছিল স্পষ্ট। এমন টানা খেলার ধকল থেকে বাঁচতে বিশ্রামের কথা বলেছিলেন বাংলাদেশ দলের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
সাকিব জানিয়েছিলেন, দলের খেলোয়াড়দের বিশ্রাম প্রয়োজন। তাহলে ইনজুরিতে পড়ার প্রবণতা কমে যায়। এ ক্ষেত্রে তিনি ভারতীয় ক্রিকেটের উদাহরণ দিয়ে বলেছিলেন, পর্যাপ্ত বিশ্রামের কারণেই তাদের খেলোয়াড়দের ইনজুরিতে পড়তে দেখা যায় না। বিশ্বকাপের পর সাকিবও বিসিবি থেকে ছুটি নিয়েছিলেন। এ জন্য ছিলেন না শ্রীলঙ্কা সফরে।
সাকিবের বিশ্রাম-নীতি নিয়ে কী ভাবছে বিসিবি? প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুও সায় দিয়েছেন সাকিবের কথায়। তিনি বলেন, খেলা যদি পরপর হয় তাহলে অবশ্যই বিশ্রাম দিয়ে খেলালে ভালো। কোনো খেলোয়াড়ের ক্লান্তি চলে এলে বা উপভোগ না করলে তখন নিজে থেকেই বিশ্রাম নিতে পারে।
তবে বিসিবি এখনো চিন্তা করেনি এই ব্যাপারে। নান্নু বলেন,“বিশ্রাম প্রক্রিয়ার কথা সাকিব বলেছে। এই ব্যাপারে আমরা কোনো কিছু চিন্তা করিনি। ‘এ’ দলের খেলা থাকে। পাইপলাইন ঠিক রাখতে ‘এ’ দলের খেলাই যথেষ্ট। তবে খেলোয়াড়রা খেলতে না চাইলে সেটি ভিন্ন কথা।’’
২০১৪’র পর ২০১৯ সালে এসে পঞ্চমবারের মতো শ্রীলঙ্কার কাছে হোয়াইটওয়াশ হতে হলো বাংলাদেশ দলকে। একটি ম্যাচেও ব্যাটে-বলে তামিমরা লড়াই করতে পারেননি। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুই ওয়ানডেতে হেরে আগেই সিরিজ খোয়ান তামিমরা। তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ১২২ রানের বড় ব্যবধানে হেরে টাইগাররা ধবলধোলাইয়ের লজ্জা নিয়ে মাঠ ছাড়ে।