দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে চতুর্থ শ্রেণীর বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনা সালিশ করে ১৪ হাজার টাকায় মীমাংসার ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনের পদক্ষেপ জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। একইসাথে দোষীদের গ্রেফতার, নারী নির্যাতন ও চাঁদাবাজি মামলা হয়েছে কিনা তাও জানতে চেয়েছেন।
এ বিষয়ে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনার পর আজ রোববার এ আদেশ দেন বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
২১ জুলাইয়ের মধ্যে ওই জেলার এসপি, স্থানীয় ওসি ও ইউএনও এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা জানানোর জন্য ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের প্রতি এ আদেশ দেন।
একটি দৈনিকে গত ১২ জুলাই ‘শিশু ধর্ষণে জরিমানা ১৪ হাজার টাকা’ শীর্ষক প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আনেন ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম।
এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম ব্যারিস্টর আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
প্রতিবেদনটি তুলে ধরার পর আদালত বলেন, দুইজনকে গ্রেফতার কথা বলা হয়েছে। এ সময় আব্দুল হালিম বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও গ্রামপুলিশ কিভাবে কাজটা করলো। সালিশের মাধ্যমে মীমাংসা করলো। তারা তো পাবলিক সার্ভেন্ট। তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
এ সময় আদালত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশে বলেন, আপনি খবর নেন। খবর নিয়ে আমাদেরকে জানান। ওনারা (সালিশকারীরা) সাত হাজার টাকা ভাগ করে নিয়েছেন। চাঁদাবাজি করেছেন। ওই টাকার ভাগ কে কে নিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে নারী শিশু নির্যাতন আইনে মামলা হয়েছে কিনা? চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে কিনা সব দেখতে হবে।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এখানে ইউপি সদস্য নৈতিক স্খলনের দায়ে দোষী হবেন। তিনি এটা করতে পারেন না। প্রশাসন এ বিষয়ে কঠোর।
এরপর আদালত এ বিষয়ে দিনাজপুরের এসপি, ওসি ও ইউএনও কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা রোববারের মধ্যে জানাতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে নির্দেশ দেন।