নাটকীয় জয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে টটেনহাম

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালের দ্বিতীয় দল হিসেবে উঠলো ইংলিশ ক্লাব টটেনহাম হটস্পার। লিগে একের পর এক চমক দেখানো নেদারল্যান্ডসের ক্লাব আয়াক্সকে সেমিফাইনারের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে ৩-২ গোলে হারিয়ে নিজেদের ইতিহাসের প্রথমবারের মতো ফাইনালে পৌঁছে গেছে দলটি।

উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের চলতি আসরে কি দুর্দান্তই না খেলছিলো নেদারল্যান্ডসের ক্লাব আয়াক্স! কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর জুভেন্টাসকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ওঠে দলটি। সেমির প্রথম লেগে টটেনেহামের মাঠে তাদের হারায় ১-০ গোলে। দ্বিতীয় লেগটি ঘরের মাঠে হওয়ায় তাদের ফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিলো উজ্জ্বল। কিন্তু লুকাস মউরার হ্যাটট্রিকে আয়াক্সের মাঠে ৩-২ গোলে জিতেছে টটেনহাম।

ফলে দুই লেগ মিলে খেলার ফলাফল দাঁড়ায় দুই দলেরই ৩-৩ গোল; কিন্তু প্রতিপক্ষের মাঠে ৩টি গোল করে এগিয়ে থাকায় ‘এওয়ে’ গোলের সুবিধায় ফাইনালে নিজেদের টিকিট নিশ্চিত করে ফেলে টটেনহাম। আগামী ২ জুন ফাইনাল ম্যাচে মোহাম্মাদ সালাহ’র দল লিভারপুলের মুখোমুখি হবে তারা।

গত রাতেও চমক দেখাতে শুরু করেছিল আয়াক্স। ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই দলকে প্রথম গোল এনে দেন অধিনায়ক ম্যাথিজ ডি লিট। কর্ণার থেকে উড়ে আসা বলে সরাসরি হেডে গোলটি করেন তিনি।

দুই লেগ মিলে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়া টটেনহাম গোল শোধ করতে মরিয়া হয়ে পড়ে; কিন্তু বেশ কয়েকটি সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় তারা। উল্টো ম্যাচের ৩৫তম মিনিটে ফন ডি বিকের পাস থেকে ম্যাচের দ্বিতীয় গোলটি করেন হাকিম জিয়েচ।

ম্যাচের প্রথমার্ধেই দুই লেগ মিলে ৩-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ায় প্রায় দুই যুগ পর চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল খেলার সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল হয় আয়াক্সের। কিন্তু ম্যাচের নাটকীয়তা হয় দ্বিতীয়ার্ধে।

পাল্টা আক্রমণ থেকে নিজেদের প্রথম গোলটি পায় টটেনহাম। বিরতি থেকে ফিরে ম্যাচের ৫৫তম মিনিটে ডেলে আলির দুর্দান্ত এক পাসে দারুণ ক্ষিপ্রতায় ব্যবধান কমান ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার লুকাস মউরা।

মিনিট চারেক পর দলকে সমতায় আনার কাজটিও করেন তিনি। তবে এতে পান ভাগ্যের সহায়তা। ফার্নান্দো লরেন্তের জোরালো শট কোনোমতে ঠেকিয়ে দেন আয়াক্স গোলরক্ষক। কিন্তু ফিরতি বল পেয়ে যান মউরা। ফাঁকায় গিয়ে বা পায়ের শটে বল জালে জড়ান তিনি।

ম্যাচে চলে আসে ২-২ গোলের সমতা। তবে প্রথম লেগের গোলে তখনো দুই লেগ মিলে এগিয়েই ছিলো আয়াক্স। মনে হচ্ছিলো সেই গোলের কল্যাণেই হয়তো ফাইনালে পৌঁছে যাবে তারা। আস্তে আস্তে করে শেষের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলো ম্যাচ।

নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষ করে ইনজুরি সময়েরও ৫ মিনিট তখন শেষ। ঠিক তখনই আয়াক্সের মাঠের সমর্থকদের বুকের মধ্য দিয়ে যেন বুলেট চালান মউরা। এবারও ডেলে আলির পাস থেকে ঠাণ্ডা মাথায় বল জালে জড়ান তিনি, পূরণ করেন হ্যাটট্রিক, ফাইনালে পৌঁছে দেন নিজের দলকে।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top