দেশের ৬৪ জেলায় নতুন কমিটি গঠন করে ‘ছাত্র পরিষদ’ নামে আসছে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বাংলদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। তরুণ সমাজের এই প্ল্যাটফর্মকে নতুন আঙ্গিকে ঢেলে সাজাতে এই উদ্যোগের কথা জানিয়েছেন সংগঠনটির যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদকে আমরা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে চাই। এজন্য দেশব্যাপী নতুন কমিটি গঠনের কাজ চলছে। আনুষ্ঠানিকভাবে একটি আয়োজনের মধ্যদিয়ে ‘ছাত্র পরিষদ’ নামে আসছি। যেটি শিক্ষার্থী ও মানুষের অধিকার আদায়ের প্লাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে।
রাশেদ খান বলেন, ছাত্র পরিষদ নিয়ে দেশের প্রতিটি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের নির্যাতন-নিপীড়ন, ভর্তি সহায়তা, মেধাবী ও অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের পাশে থাকতে চাই আমারা। পাশাপাশি আমরা একটি ব্লাড ব্যাংক করারও উদ্যোগ নিয়েছি। যেখানে প্রতিটি মানুষ প্রয়োজনে রক্ত সংগ্রহ করতে পারবেন। একইভাবে আমরা দেশব্যাপী নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ ও অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে সোচ্চার ভূমিকা রাখতে চাই।
জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ভিপি এবং বাংলদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুর বলেন, গতানুগতিক লেজুড়বৃত্তি ছাত্ররাজনীতি কিংবা রাজনৈতিক দলের হাতিয়ার হিসেবে কাজ করা ছাত্রসংগঠনের পরিবর্তে আমরা একটি নতুন সংগঠনের প্লাটফর্ম ঘোষণা করতে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, এটি প্রকৃত অর্থে শিক্ষার্থী, সমাজ-রাষ্ট্রের কল্যাণে দেশপ্রেম, ত্যাগ ও সেবার মানসিকতা নিয়ে কাজ করবে। একই সময় তিনি একটি আদর্শ ছাত্র সংগঠন হিসেবে ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’কে এগিয়ে নিতে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের সমর্থন-সহযোগিতা ও পরামর্শ প্রত্যাশা করেন।
নুরুল হক নুর বলেন, মানুষের কল্যাণে সমাজ-রাষ্ট্রের অন্যায়-অনিয়ম, বৈষম্যের সমাধানে কার্যকর প্রতিবাদ এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সাধারণ মানুষের যৌক্তিক ও ন্যায়সঙ্গত অধিকার আদায়ে এ সংগঠন কাজ করে যাবে। একই সাথে আমরা একটি স্বেচ্ছাসেবী টিম করতে যাচ্ছি যারা বন্যা, অগ্নিকাণ্ডসহ বড় ধরণের দুর্ঘটনায় জরুরি সেবা দিতে সব সময় প্রস্তুত থাকবে।
নুর বলেন, সাংগনিক কাঠামোর মাধ্যমে সারা দেশের ছাত্রসমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে কাজ করার স্বার্থে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, জেলা, উপজেলা, থানা পর্যায়ে কমিটি গঠনের কাজ চলছে।