পানি খেয়ে ৫ দিন বেঁচে ছিল ৭ বছরের আখিলা

বাথরুমে আটকে পড়া সাত বছর বয়সী এম মেয়ে পাঁচ দিন ধরে বেঁচে ছিল কেবল পানি খেয়ে। খেলতে গিয়ে প্রতিবেশীর বাথরুমে আটকে যাওয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় বলে জানায় পুলিশ।

হায়দরাবাদ থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরে তেলেঙ্গানার নারায়ণপেট জেলার মখটাল এলাকার একটি বাড়িতে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

ওই বাড়ির মালিক এক সফর শেষে ফিরে গত বৃহস্পতিবার গত বৃহস্পতিবার তার বাড়ির বাথরুমে ওই শিশুটিকে দেখে হতবাক হয়ে যান। কোনো ধরনের খাবার ছাড়া শুধু পানি খেয়ে মেয়েটি পাঁচদিন ধরে বেঁচে ছিল। উদ্ধার করার সময় ওই মেয়েটি খুবই দুর্বল ও আতঙ্কিত ছিল।

পুলিশ জানায়, দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী কুরাভাকেছেরি আখিলা গত ২০ এপ্রিল থেকে নিখোঁজ ছিল। জানা যায় ছাদে খেলার সময় হঠাৎ করে পা পিছলে পাশের ভবনের বাথরুমে পড়ে যায়। সেটি প্লাস্টিকের জাল দিয়ে ঢাকা থাকায় পড়ার সময় মেয়েটি বড় ধরনের কোনো আঘাত পায়নি।

বাথরুমটি বাইরে থেকে আটকানো ছিল। মেয়েটি সেখানে আটকে পড়ার পর সাহায্য চেয়ে কান্না করেছিল, কিন্তু কোনো সাড়া পায়নি। পুলিশ জানায়, সে বাসায় এমন কোনো কেউ ছিল না, যারা তার কান্না শুনতে পারতো।

আখিলার পিতামাতা সুরেশ ও মহাদেভাম্মা তাদের সন্তানের নিখোঁজ হওয়ার ব্যাপারে ২১ এপ্রিলেই একটি জিডি দায়ের করেন। কিন্তু এ ব্যাপারে তারা কোনো জবাব পাননি।

সাব ইন্সপেক্টর অশোক কুমার বলেন, আখিলার পিতামাতা সন্দেহ করছিলেন, হয়তো স্থানীয় মেলা থেকে আখিলা নিখোঁজ হয়েছে। জিডি দায়ের করার পর পুলিশ একটি দল গঠন করে তার ব্যাপারে সন্ধান চালিয়েছিল, কিন্তু এ ব্যাপারে কোনো ক্লু পাওয়া যায়নি।

গত বুধবার প্রতিবেশী ওই বাড়ির মালিক ও শিক্ষক ভেঙ্কটেশ হায়দরাবাদ থেকে বাড়িতে ফিরেন। স্কুলের গ্রীষ্মের ছুটিতে তিনি শহরে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিল। অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফিরে ভেঙ্কটেশ তাদের বাথরুমে আখিলাকে পড়ে থাকতে দেখে হতবাক হয়ে যান। তিনি তার প্রতিবেশীদের জানালে, তারা ওই শিশুকে শনাক্ত করে।

আখিলাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনো সে কথা বলতে সক্ষম হচ্ছে না।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top