বাড়ির পাশে পানের বরজের কাছে ঘাস কাটতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক স্কুলছাত্রী। ধর্ষিতা স্কুলছাত্রী স্থানীয় বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের বেতেঙ্গা গ্রামে। অভিযুক্ত ধর্ষকের নাম ইউনুস আলী মিয়া ওরফে ইনলোচ (৫০)। সে বেতেঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা ও তিন সন্তানের জনক।
ভূক্তোভোগী শিক্ষার্থীর চাচি বলেন, শিশুটির পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো না। বাবা ভ্যান চালায়। কিছুদিন আগে সে বাড়ির পাশে ঘাস কাটতে যায়। সেখানে পানের বরজের পাশে আগে থেকে কাজ করছিলেন ইনলোস নামে এক ব্যক্তি। পূর্ব পরিচিত ওই ব্যক্তিকে ওই শিশুটি চাচা বলে ডাকে।
এ সময় ঘাস দেয়ার কথা বলে পানের বরজের মধ্যে ডেকে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে ইনলোস। এ ঘটনা কাউকে বললে ওই স্কুলছাত্রীকে ও তার পরিবারের সবাইকে জবাই করে হত্যার হুমকি দেয় সে। এ কারণে শিশুটি বিষয়টি কাউকে বলে নাই।
তিনি আরো বলেন, চারদিন ধরে শিশুটির মা ও ভাই বাড়ি থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। মা ও ভাইকে কোথায়ও না পেয়ে শিশুটি কান্নাকাটি করছিলো। কান্নাকাটির কারণ জানতে চাইলে শিশুটি সবকিছু খুলে বলে।
তিনি বলেন, বুধবার শিশুটির বিদ্যালয়ে গিয়ে স্যারকে বিষয়টি জানিয়েছি। মেয়েটি খুব গরীব, অসহায়। তার বিয়ে ও ভবিষ্যতের কথা ভেবে পুলিশকে জানানো হয়নি।
এদিকে বুধবার দুপুরে অভিযুক্ত ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। অভিযুক্ত ধর্ষকের ভাতিজা আবদুর রহিম মিয়া বলেন, ‘আমি পাটকলের গাড়ি চালাই। সারাদিন প্রায় বাইরে বাইরে থাকি। আমি এই বিষয়ে কিছু জানি না।’
জামালপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল আলম বলেন, ‘মঙ্গলবার দুপুরে শিশুটিকে এক অভিভাবক আমার কাছে নিয়ে এসেছিলো। ওর মা অনেকটা ভারসাম্যহীন। আমি তাদের থানায় মামলা করার পরামর্শ দিয়েছিলাম। এছাড়া সহায়তা করার জন্য স্থানীয় দু’জন সাংবাদিককে অনুরোধ করেছি।’
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনুস আলী সরদার বলেন, আমি এই বিষয়টি জানি না। খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থাগ্রহণ করবো।
বালিয়াকান্দি থানার ওসি এ কে এম আজমল হুদা বলেন, আপনার কাছেই বিষয়টি প্রথম জানতে পারলাম। শিশু ধর্ষণের বিষয়ে কেউ থানায় কোনো অভিযোগ করে নাই। বিষয়টি আমি অবগত নয়। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।