ব্রিটিশ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মার্ক ফিল্ড হুঁশিয়ারি উচ্চারন করে বলেছেন, গণতান্ত্রিক শাসন ও জবাবদিহিতার জন্য পদক্ষেপ নেয়া না হলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি হুমকীর মুখে পড়তে পারে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কার্যকর বিরোধী দল ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ সফর শেষে বুধবার ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দফতর থেকে এক বিবৃতিতে মার্ক ফিল্ড এ মন্তব্য করেন। তিনি গত শনিবার ও রোববার ঢাকা সফরে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সৌজন্য সাক্ষাত ও গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন। এছাড়া তিনি রাজধানীর এক হোটেলে ‘সুশাসন ও উন্নয়ন’ বিষয়ক সেমিনারে বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যে মার্ক ফিল্ড প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম ও অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমানের উপস্থিতিতে বাংলাদেশের বিগত জাতীয় নির্বাচনে অনিয়মের কঠোর সমালোচনা করেন।
লন্ডন থেকে দেয়া বিবৃতিতে ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাতে আমি দুই দেশের গভীর সম্পর্ককে কিভাবে আরো শক্তিশালী করা যায় তার উপায় নিয়ে আলোচনা করেছি। কমনওয়েলথের আওতায় আমরা জলবায়ু পরিবর্তন থেকে বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে সহযাগিতার ইস্যুসমূহ এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের আওতায় জনগনের মধ্যে সম্পৃক্ততা বাড়ানো এবং মানবপাচাররোধে একসাথে কাজ করছি।
মার্ক ফিল্ড বলেন, বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু হিসাবে আমরা গণতান্ত্রিক শাসন ও জবাবদিহিতা ইস্যুতে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছি। বাংলাদেশের মানুষের বিকাশ ও সুযোগের পূর্ণ সদ্ব্যবহারে এ সব ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকারের অবশ্যই আরো অনেক কিছু করতে হবে।
রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মার্ক ফিল্ড। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর জন্য মিয়ানমারের সাথে আলোচনার সম্ভাবনা নিয়ে তিনি আলাপ করেন।
সম্পাদকদের সাথে মতবিনিময়ে ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে সাংবাদিকরা তাদের উদ্বেগের কথা জানান। মার্ক ফিল্ড মধ্য আয়ের দেশে উত্তরণে বাংলাদেশের যাত্রা এবং অব্যাহত অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বিদেশী বিনিয়োগকারী ও সহায়তা কর্মসূচিগুলোর মাধ্যমে ব্রিটেন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করছে।
ঢাকা সফরকালে মার্ক ফিল্ড ব্রিটিশ কাউন্সিলে একটি গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশে ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শাখা ক্যাম্পাস স্থাপন নিয়ে আলোচনা করেন।