ধর্ষক এখনো কিশোর বয়সের কোঠা পার করেনি। কিন্তু বখাটে হিসেবে সে হয়তো এলাকার শীর্ষেই থাকবে। বড়শি দিয়ে পুকুরে মাছ ধরার সময় আশেপাশে কেউ না থাকার সুযোগে এক স্কুলছাত্রীকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে এই ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষককে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে মাদারীপুরের শিবচরে। ধর্ষিতা স্কুলছাত্রী ও অভিযুক্ত ধর্ষকের পরিবার একই বাড়িতে পাশাপাশি ঘরে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে।
পুলিশ ও ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের চরকমলাপুর গ্রামের বাসিন্দা আচার বিক্রেতা তার স্ত্রী, দুই মেয়ে ও দুই ছেলেকে নিয়ে একই উপজেলার বাঁশকান্দি ইউনিয়নের শেখপুর বাজারসংলগ্ন একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন। সোমবার দুপুরে আচার বিক্রেতার মেজ মেয়ে ৫নং ছলেনামা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী বাসার পার্শ্ববর্তী একটি পুকুরে গোসল করতে যায়।
এ সময় পুকুর পাড়ে একই বাড়ির আরেক ভাড়াটিয়া রুবেল বিশ্বাসের ছোট ভাই নাসির বিশ্বাস (১৪) বড়শি দিয়ে মাছ ধরছিল। স্কুলছাত্রী মেয়েটি গোসল করতে গেলে আশপাশে কেউ না থাকার সুযোগে নাসির রশি দিয়ে মেয়েটির হাত বেঁধে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে মেয়েটি হাতের বাঁধন খুলে কাঁদতে কাঁদতে বাসায় ফিরে আসে।
এ সময় মেয়েটির রক্তক্ষরণ দেখে তার মা কারণ জিজ্ঞেস করলে মেয়েটি ঘটনা খুলে বলে। পরে তাকে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ধর্ষিতা স্কুলছাত্রীর প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে শিবচর থানায় খবর দেয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্ত ধর্ষক নাসিরকে আটক করে ও মেয়েটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। আটককৃত নাসির বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার হারুন বিশ্বাসের ছেলে। সে তার বড় ভাই শেখপুর এলাকার অটোচালক রুবেলের ভাড়া বাসায় থেকে স্থানীয় একটি হোটেলে শ্রমিকের কাজ করে। এ ব্যাপারে শিবচর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ বিষযে শিবচর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, ভূক্তভোগী স্কুলছাত্রী মেয়েটিকে একা পেয়ে নাসির ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মেয়েটির সাথে কথা বলে ঘটনার বিবরণ শুনে ধর্ষক নাসিরকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা দায়ের করা হয়েছে।