বিশ্বকাপ শুরু হতে দুই মাসও বাকি নেই। বৈশ্বিক আসরে শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে টাইগাররা নিজেদের ঝালিয়ে নেয়ার এই তো সময়। কিন্তু এমন মহা গুরুত্বপূর্ণ সময়েও মাশরাফি, তামিমদের পাশে নেই কোনো কোচ। হেড কোচ স্টিভ রোডস, পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ, স্পিন কোচ সুনিল যোশি, ব্যাটিং কোচ নিল ম্যাকেঞ্জি, ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক সবাই রয়েছেন তাদের নিজ নিজ দেশে। ছুটি কাটাচ্ছেন পরিবারের সাথে।
নিউজিল্যান্ড সফর শেষে বেশির ভাগ টাইগার সদস্য প্রিমিয়ার লিগে খেলছেন। কেউ কেউ ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কেউ আবার কোচদের দেয়া হোম ওয়ার্ক সারছেন। কিন্তু সেখানে তাদের ভুল-ত্রুটি দেখার কেউ নেই। একমাত্র তাদের উপস্থিতিতেই নিখুঁত প্রস্তুতি নিতে পারত টাইগার বাহিনী।
বিষয়টিকে দুঃখজনক বলে অভিহিত করলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাবেক ব্যাটসম্যান জাভেদ ওমর বেলিম। তিনি মনে করেন বৈশ্বিক মঞ্চের লড়াইয়ে প্রস্তুত হতে এই সময়টায় অবশ্যই কোচদের উপস্থিত থাকা উচিত ছিল। তবে এ ক্ষেত্রে পেশাগত দিকটিকেও প্রাধান্য দিচ্ছেন সাবেক টাইগার ওপেনার।
‘যদি এমন হয় বিসিবি তাদের ছুটি দিয়েছে সেটা ভিন্ন কথা। যেহেতু তারা নিউজিল্যান্ডে লম্বা একটি সফর শেষ করেছে। সামনে আয়ারল্যান্ড ও বিশ্বকাপ মিলে প্রায় দুই মাসেরও বেশি সময় দলের সাথে সফরে থাকতে হবে। সে বিবেচনায় বিসিবির কাছ থেকে তারা ছুটি পেতেই পারে। কিন্তু যদি এমন হয়, প্রশিক্ষকরা যদি মনে করেন ক্রিকেটাররা তো প্রিমিয়ার লিগ খেলছেই, আমরা এই সুযোগে ছুটি কাটাই, তাহলে সেটি দুঃখজনক।’
তিনি ব্যাখ্যায় বলেন, ‘ধরুন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে বাংলাদেশ জাতীয় দলের যেসব ক্রিকেটার খেলছে নিশ্চয়ই তারা কোনো না কোনো ভুল করছে। সেই ভুলগুলো দেখার বা ধরিয়ে দেয়ার মতো কেউ নেই। ভুলগুলো ধরিয়ে দিলে তারা এখনোই নিজেদের শোধরাতে পারতেন।’
সৌম্য সরকারের উদাহরণ দিয়ে বেলিম বলেন, ‘সৌম্যকে দেখছেন ওর ইনিংসগুলো বড় করতে পারছে না। বেশ কয়েকটি ইনিংসে ৩০-৪০ রানে আউট হয়েছে। এই সময় যদি ব্যাটিং কোচ নীল ম্যাকেঞ্জি দেশে থাকত তাহলে সৌম্যের ভুলগুলো ধরিয়ে দিতে পারত।’
বোলারদের ক্ষেত্রেও একই উদাহরণ দাঁড় করালেন তিনি, ‘এই যে মিরাজ, রুবেল, সাইফুদ্দিন, নাইম যেভাবে বল করছে নিশ্চয়ই সেখানে কোনো না কোনো ত্রুটি আছে। ওয়ালশ বা যোশি থাকলে ওদের পরামর্শ দিতে পারত।’
টাইগারদের মনস্তাত্ত্বিক উন্নয়নের বিষয়টিও তুলে ধরেন বেলিম, ‘শুধু খেলা নয়। কোচরা থাকলে মানসিকভাবেও খেলোয়াড়রা চাঙ্গা থাকত। আরো আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠত। তবে আমি নিশ্চিত তারা এলে সব ঠিক হয়ে যাবে।’
কোচবিহীন বাংলাদেশ বিষয়ে সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেন, ‘২০ এপ্রিল থেকে বিশ্বকাপের অনুশীলন ক্যাম্প। এর মধ্যেই সবাই দলের সাথে দেবেন।’