বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, জেলের তালা ভেঙ্গে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনবে দেশের জনগণ। তিনি বলেন, দিন-তারিখ দিয়ে কোনো আন্দোলন হয় না। আমরা দেশবাসীকে সাথে নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছি। বিএনপি আগামীতে কোনো ব্যর্থ আন্দোলন করবে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
আজ শুক্রবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ভবনের স্বাধীনতা হলে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও মুক্তির দাবিতে আয়োজিত আলোচনাসভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির উপদেষ্টা সাঈদ আহমেদ আসলাম। এম জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো: নেছারুল হক, জাসাস সহ-সভাপতি শাহরিয়া ইসলাম শায়লা, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ উদ্দিন, কৃষক দলের সদস্য হাজী মোজাম্মেল হক মিন্টু সওদাগর, লায়ন মিয়া মো: আনোয়ার প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মঈন খান বলেন, আমরা মানুষের কাছে যাচ্ছি। তাদেরকে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত করছি। খালেদা জিয়ার মুক্তির পরিবেশ সৃষ্টি করছি। আওয়ামী লীগকে চিরতরে বিদায় করার জন্যই পর্যাপ্ত শক্তি নিয়েই আমরা মাঠে নামবো।
অচিরেই আওয়ামী লীগ একঘরে হয়ে যাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিজেদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ নয়, যারা সত্যিকার অর্থেই বেগম জিয়ার মুক্তি আন্দোলনে শামিল হতে চান তাদেরকে নিয়েই বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলা হবে।
সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্মের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন বেগবান করারও ঘোষণা দেন তিনি।
বর্তমান সংসদকে ভুয়া সংসদ অভিহিত করে বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, যারা এই ভুয়া সংসদে যাওয়ার জন্য যারা ব্যাকুল হয়ে গেছেন তাদেরকে আমি প্রশ্ন করি, কিসের সংসদে যাওয়ার জন্য আপনারা এত ব্যাকুল হলেন? এই সংসদে কি সত্যিকার অর্থে জনগণের কোনো প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ আছে? তিনি বলেন, যেখানে মানুষের ভোটেরই কোনো অধিকার নেই, সেখানে কিভাবে আপনি জনগণের কথা বলবেন?
আওয়ামী লীগকে ইতিহাসের নিকৃষ্টতম স্বৈরাচার উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই সরকার প্রশাসন, র্যাব-পুলিশসহ সব বাহিনীকে দখলে নিয়েছে।
স্বৈরাচারবিরোধী সকল দল ও মতের মানুষকে সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগের মোকাবেলা করা হবে বলেও হুশিয়ারি দেন মঈন খান।