সিলেট-২ আসন থেকে জয় পাওয়া গণফোরাম নেতা মোকাব্বির খান সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিলেন। মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় জাতীয় সংসদ ভবনে তিনি শপথ নেন। তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
জাতীয় সংসদের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান শপথ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। এ সময় সংসদ সদস্যের নির্বাচনী এলাকার নেতৃবৃন্দ ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে শপথ নিতে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে সংসদ ভবনে আসেন মোকাব্বির খান।
এরআগে গতকাল সোমবার মোকাব্বির খান চিঠি পাঠিয়ে মঙ্গলবার বা বুধবার শপথ আয়োজনের অনুরোধ করেন বলে জানান সংসদ সচিবালয়ের সচিব জাফর আহমেদ। সিলেট-২ আসন থেকে গণফোরামের দলীয় প্রতীক উদীয়মান সূর্য নিয়ে নির্বাচিত মোকাব্বির দাবি করেছেন, দলীয় সিদ্ধান্তেই সংসদে যাচ্ছেন তিনি।
গণফোরামের প্যাডে পাঠানো ওই চিঠিতে তিনি লিখেছেন,‘আমি ও আমার দল গণফোরাম আগামী ২ এপ্রিল বা ৩ এপ্রিল শপথ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
তবে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু বলছেন, দলীয় ফোরামে এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে গণফোরামের মনোনয়নে উদীয়মান সূর্য প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন মোকাব্বির খান। এর আগে ঐক্যফ্রন্টের আরেক সদস্য গণফোরাম নেতা (বহিষ্কৃত) সুলতান মনসুর শপথ নিয়েছেন। তবে দলীয় নিয়ম ভেঙে শপথগ্রহণ করায় তাকে গণফোরাম থেকে বহিষ্কার করা হয়।
জানা গেছে, গণফোরাম নেতা মোকাব্বির খানের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে সংসদ সচিবালয় তার এই শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় সংসদে শপথ নেবেন মোকাব্বির খান।
উল্লেখ্য, গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি জোটের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নির্বাচিত হন গণফোরামের দুই নেতা সুলতান মনসুর ও মোকাব্বির খান। ধানের শীষ প্রতীকে ভোট করে জয়ী হওয়া সুলতান মনসুর গত ৭ মার্চ শপথ নিয়ে সংসদ অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন।
ওই সময় মোকাব্বির খানও শপথ নেবেন বলে জানানো হলেও শেষ পর্যন্ত তিনি সরে যান। এছাড়া দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে শপথ নেয়ায় সুলতান মসসুরকে গণফোরাম থেকে প্রাথমিকভাবে বহিষ্কার করা হয়।