ফরিদপুরে দুদকের মামলায় এক ব্যাংক কর্মকর্তাকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছেন বিশেষ জজ আদালত।
আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে ওই আদালতের জজ মো: মতিয়ার রহমান এ রায় দেন। তবে রায়ের সময় আসামি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।
দন্ডপ্রাপ্ত ওই ব্যাংক কর্মকর্তা হলেন মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার শশিকর গ্রামের কৃষ্ণকান্ত বিশ্বাস। তিনি জনতা ব্যাংক মাদারীপুর প্রধান শাখার ফিল্ড অ্যাসিসট্যান্ট কাম সুপারভাইজার পদে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি সাসপেন্ড (বরখাস্ত) অবস্থায় পলাতক রয়েছেন।
আদালত ১৮৬০ সালের দন্ডবিধির ৪০৯ ধরায় সরকারি টাকা আত্মসাতের দায়ে কৃষ্ণকান্তকে ৭ বছরের সশ্রম কারদন্ড এবং নগদ ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৬১১ টাকা জরিমানা করেন। জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরো ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদন্ড ভোগ করতে হবে।
এছাড়া জাল জালিয়াতির দায়ে (৪৬৭) ৬ বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও ৩ মাস বিনাশ্রম কারদন্ড ভোগ করতে হবে।
এছাড়া ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে দোষী সাব্যস্ত করে তাকে ৫ বছর সশ্রম কারাদন্ড এবং ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনুদায়ে তাকে আরো এক মাস বিনাশ্রম কারাদন্ড ভোগ করতে হবে।
তবে কৃষ্ণকান্ত বিশ্বাস সব সাজা একসাথে ভোগ করবেন।
দুদকের পিপি মো: মজিবর রহমান বলেন, কৃষ্ণকান্ত বিশ্বাস মাদারীপুর জনতা ব্যাংকের প্রধান শাখায় কর্মরত থাকাকালে ঋণের আদায়কৃত ৩১ হাজার ৬১১ টাকা জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেন। এছাড়া ২১ ব্যক্তির নামে ভুয়া ঋণ দেখিয়ে ৩ লাখ ৫৭ হাজার টাকাসহ সরকারি ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৬১১ টাকা আত্মসাৎ করেন।
ওই ব্যাংকের তৎকালীন ব্যবস্থাপক মো: জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্লা বাদী হয়ে ২০০৫ সালের ২৬ জানুয়ারি এ ব্যাপারে আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি দুদকের একতিয়ারভুক্ত বিধায় আদালত ২০০৮ সালের ৪ জুন মামলাটি মাদারীপুর সদর থানায় তদন্তের জন্য পাঠায়।
এ মামলার তদন্ত করে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সাবেক সহকারি পরিচালক মো: আবুল হোসেন। ২০০৯ সালের ২৬ মে ব্যাংক কর্মকর্তা কৃষ্ণকান্ত বিশ্বাসকে দোষী সাব্যস্থ করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা।