রাজধানীর বনানী এফ আর টাওয়ারের বর্ধিত অংশের মালিক বিএনপি নেতা তাসভির উল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। গতকাল শনিবার রাত ১০টা ৪৫ মিনিটের দিকে তাসভিরের বারিধারার বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ডিবি (উত্তর) পুলিশের এডিসি সাজাহান সাজু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তাসভির উল ইসলাম কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির সভাপতি এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। পাশাপাশি তিনি কাশেম ড্রাইসেলস কোম্পানি লিমিটেড নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও নির্বাহী কর্মকর্তা।
এ দিকে গত রাতে বনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মিল্টন দত্ত বাদি হয়ে ৪৩৬/৩০৪(ক)/৪২৭/১০৯ ধারায় মামলা (নম্বর ৩৭) করেছেন। এতে এস এন এইচ আই ফারুক, রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান ও তাসভির উল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে।
রাজউক সূত্র জানিয়েছে, ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর ভবনটির ভূমি মালিক ইঞ্জিনিয়ার ফারুক ও রূপায়ন গ্রুপ যৌথভাবে নকশা অনুমোদনের জন্য আবেদন করে। তখন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ১৮ তলা ভবন নির্মাণের জন্য নকশা অনুমোদন দেয়। পরে ২০০১ সালে ভবনটিকে ২৩ তলা পর্যন্ত বর্ধিত করে নির্মাণ করা হয়। ডেভেলপার কোম্পানি ভবনটির ২০ ও ২১তম তলাটি জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম মাইদুল ইসলামের কাছে বিক্রি করে। মাইদুল ইসলামের কাছ থেকে ফ্লোর দু’টি কিনে নেন কাশেম ড্রাইসেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাসভির উল ইসলাম। এরপর তিনি নকশা পরিবর্তন করে ছাদের ওপর আরো দু’টি ফ্লোর নির্মাণ করেন।
এ দিকে গতকাল দুপুরে তাসভির দাবি করেন, ‘তার ফ্লোরগুলোর রাজউক অনুমোদিত বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। তিনি ফ্লোরগুলো রূপায়ন থেকে কিনেছেন। ভূমি মালিক আর ডেভেলপার কোম্পানির দ্বন্দ্বের কারণে এই ধূমজাল সৃষ্টি হয়েছে। এ জন্য তিনি দায়ী নন, দায়ী রাজউক।’
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে ২২ তলাবিশিষ্ট বনানীর এফ আর টাওয়ারের ৯ তলায় আগুন লাগে। প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা চেষ্টার পর রাত ৭টায় আগুন নেভানো সম্ভব হয়। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৬ জন মারা যান।