প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ১৫ এপ্রিল

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা এপ্রিলের মাঝামাঝি অনুষ্ঠিত হবে, যা সারাদেশে তিন থেকে চার ধাপে সম্পন্ন হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আকরাম আল হোসেন ও ডিপিইর মহাপরিচালক এ এফ এম মনজুর কাদির।

আকরাম আল হোসেন বলেন, ১৫ এপ্রিল থেকে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ লিখিত পরীক্ষা আয়োজন করতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরকে (ডিইপি) নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

অন্যদিকে ডিপিইর মহাপরিচালক এ এফ এম মনজুর কাদির বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার জন্য ওএমআর সিট তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। বুয়েটের তত্ত্বাবধানে তা তৈরি করা হয়েছে। ১৫ এপ্রিল থেকে নিয়োগ পরীক্ষা শুরুর চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। চলতি সপ্তাহে নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজক কমিটির সঙ্গে ডিপিইতে সভা হবে। সে সভায় পরীক্ষা-সংক্রান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।

এবার নিয়োগ পরীক্ষা সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড পদ্ধতিতে হবে। নির্ধারিত জেলায় পরীক্ষার আগের রাতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের কাছে প্রশ্নপত্রের সব সেট পাঠানো হবে। পরীক্ষার দিন সকাল ৮টায় প্রশ্নপত্র ছাপিয়ে তা কেন্দ্রে পৌঁছানো হবে।

ডিপিই মহাপরিচালক মনজুর কাদির বলেন, ‘স্বচ্ছ, দুর্নীতিমুক্ত ও প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে নিয়োগ পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছে। পরীক্ষার দিন প্রতিটি কেন্দ্রের বাইরে বাড়তি নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। পরীক্ষা পদ্ধতি ডিজিটালাইজড করতে আমরা বুয়েটের সহায়তায় একটি আধুনিক সফটওয়্যার তৈরি করেছি। সফটওয়্যারের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীর আসন বিন্যাস, পরিদর্শক নির্বাচনসহ যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।’

এবার ১৩ হাজার পদের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ২৪ লাখের বেশি। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। গত ১৫ মার্চ নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ আয়োজনের কারণে তা পিছিয়ে দেওয়া হয়।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, এবার সব জেলার ফল একসঙ্গে প্রকাশ করা হবে না। যে জেলার পরীক্ষা আগে শেষ হবে, সেখানে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে মৌখিক পরীক্ষা আয়োজন করা হবে।

কর্মকর্তারা জানান, পরীক্ষার হলে পাশাপাশি বসা পরীক্ষার্থীরা যাতে একই সেট না পায় সে জন্য এবার ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রার্থীদের প্রশ্ন সেট নির্ধারণ করা হবে। পরীক্ষার্থীর রোল নম্বরের ওপর প্রশ্ন সেট নির্ধারণ করা হবে। এবার পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শক নিয়োগের ক্ষমতা কেন্দ্র সুপারের কাছে থাকছে না। এক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষককে অন্য প্রতিষ্ঠানে কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্ব দেওয়া হবে। কেন্দ্র থেকে দায়িত্ব পাওয়া পরিদর্শকদের শুধু দায়িত্ব বুঝিয়ে দেবেন কেন্দ্র সুপার।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top