ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী ৮ জন শিক্ষকের প্রভোস্ট কমিটির সভায় শাস্তি দাবির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের (ঢাবি) বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন ঢাবি সাদা দল।
সংগঠনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, গত ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করে ঢাবির ৮ জন সম্মানিত শিক্ষক ব্যাপক অনিয়মের চিত্র তুলে ধরে এ ত্রুটিযুক্ত নির্বাচন বাতিলের দাবি জানিয়ে পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এ জন্য গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ঢাবি প্রভোস্ট কমিটির সভায় তাদের শাস্তি দাবি করায় আমরা বিস্মিত, হতবাক ও ক্ষুব্ধ। আমরা এ ধরণের ন্যাক্কারজনক দাবির তীব্র নিন্দা ও জোরালো প্রতিবাদ জানাচিছ।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটের আগের রাতে ব্যালট পেপারে সিল মারাসহ পর্যবেক্ষক দলের প্রতিবেদনে যেসব অনিয়মের অভিযোগ করা হয়েছে তার প্রত্যেকটি অভিযোগ সত্য। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ও গণমাধ্যমেও এসব অনিয়মের কথা উঠে এসেছে। ঢাবি সাদা দলের পক্ষ থেকেও এসব অনিয়মের অভিযোগ এনে নির্বাচনের দিনই এ ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান ও পুনঃনির্বাচনের দাবি জানানো হয়েছিল।
কিন্তু আমরা বিস্ময়ের সাথে দেখলাম যে কর্তৃপক্ষ এ নির্বাচনে অনিয়মের সাথে জড়িতদের ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। উল্টো এ নির্বাচনে সংঘটিত অনিয়ম কারচুপির ব্যাপারে যারা কথা বলেছেন, সোচ্চার হয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে প্রভোস্ট কমিটি থেকে শাস্তির দাবি করা হচ্ছে। আমরা এ ধরনের হাস্যকর কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার জন্য প্রভোস্ট কমিটির সদস্যদের আহ্বান জানাচ্ছি।
একইসাথে যারা ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপি করে ঢাবির সুনাম ও ঐতিহ্য নস্যাৎ করেছেন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার জন্য কর্তৃপক্ষের কছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
ঢাবি সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান, অধ্যাপক ড. মোঃ মোর্শেদ হাসান খান ছাড়াও বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ড. মো: আবদুর রশীদ, ড. মো. সিরাজুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, ড. মো. আবুল কালাম সরকার, অধ্যাপক মো. আতাউর রহমান বিশ্বাস, ড. মোহাম্মদ আলমোজাদ্দেদী আলফেছানী, ড. মো. আসলাম হোসেন, ইসরাফিল প্রামাণিক রতন, ড. মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, ড. মোঃ গোলাম রব্বানী, ড. লায়লা নূর ইসলাম, ড. মোঃ আবদুর রব, ড. মোঃ আশরাফুল ইসলাম চৌধুরী, ড. মাহমুদ ওসমান ইমাম, ড. মো. শামসুল আলম, দেবাশীস পাল, ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, ড. মহব্বত আলী, মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, মোহাম্মদ ইলিয়াস, মোহাম্মদ ওমর ফারুক প্রমুখ।