যাকে হত্যা নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। সেই আবরার আহমেদ চৌধুরীকে বাস চাপা দেয়ার কারণ উদঘাটন করেছে পুলিশ। সুপ্রভাত বাসের চালকের উদৃতি দিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এক নারী পথচারীকে ধাক্কা দিয়ে দ্রুতগতিতে পালানোর সময় সুপ্রভাত পরিবহনের বাসটি আবরার আহমেদ চৌধুরীকে চাপা দেয়। মঙ্গলবার দায়ের করা মামলার এজাহারেও পথচারীকে চাপা দেয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, সুপ্রভাতের বাসটি শাহজাদপুরের বাঁশতলা এলাকায় বাসটি সিনথিয়া সুলতানা মুক্তাকে (২০) ধাক্কা দেয়। এরপর দ্রুতগতিতে পালানোর সময় বসুন্ধরা আবাসিক গেটের কাছে আবরারকে চাপা দেয়। ওই পথচারী কোথায় আছেন সে বিষয়ে বুধবার সন্ধ্যায় পর্যন্ত জানাতে পারেনি পুলিশ।
গুলশান থানার পুলিশ সূত্র জানায়, শাহজাদপুর থেকে লোকজন আহত ওই পথচারীর কথা ও বাসের নম্বর পুলিশকে জানায়। গ্রেপ্তার হওয়ার পর বাসচালক সিরাজুল ইসলামও জিজ্ঞাসাবাদে নারী পথচারীকে ধাক্কা দেয়ার বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ওই পথচারীকে অন্যরা হাসপাতালে পাঠালে তার বিস্তারিত পরিচয় এখনো জানা যায়নি। তিনি কোন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বা এখন কোথায় আছেন সেটিও জানা যায়নি।
গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, বাঁশতলায় ওই নারীকে ধাক্কা দিয়ে চালক বসুন্ধরা গেটে এসে আবরারকে চাপা দেয়। তবে বাঁশতলায় আহত হওয়া নারী কোনো হাসপাতালে ভর্তি না চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন সে বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। পুলিশ খোঁজ খবর নিচ্ছে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসে (বিইউপি) ক্লাস ছিল আবরারের। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী তিনি। ক্লাসে যাওয়ার জন্য সকাল সাড়ে সাতটার দিকে নর্দ্দায় যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা বিইউপির বাসে উঠতে যাচ্ছিলেন তিনি। এ সময় সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বাস তাকে চাপা দেয়।