ঢাকার দোহারে কাপড় ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম হত্যা মামলায় ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে আরো দুই আসামিকে।
আজ বুধবার ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রদীপ কুমার রায় এ আদেশ দেন।
মৃত্যদণ্ডপ্রাপ্ত ১৫ জন হলেন- সিরাজ ওরফে সেরু কারিগর, মিনহাজ ওরফে মিনু, খলিল কারিগর, শাহজাহান কারিগর, দিদার (পলাতক), এরশাদ (পলাতক), কালু ওরফে কুটি কারিগর, আজহার কারিগর, নিয়াজ উদ্দিন, মোজাম্মেল ওরফে সুজা, জলিল কারিগর (পলাতক), জালাল, বিল্লাল, ইব্রাহিম (পলাতক) ও আ: লতিফ।
আদেশে তাদেরকে ফাঁসিতে ঝুঁলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে বলা হয়েছে। একই সাথে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দু’জন হলেন- মজিদল ওরফে মাজেদা ও চায়না বেগম। তারা দু’জনই পলাতক রয়েছেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদেরকেও ২০ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া অনাদায়ে আরও এক বছর কারাভোগ করতে হবে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামিদের সাথে নিহত নজরুল ইসলামের জমি-জমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে দেওয়ানী ও ফৌজদারী একাধিক মামলাও চলছিল। এর মাঝে ২০০৮ সালের ৩ এপ্রিল সকালে বুড়িগঙ্গা ব্রিজের পাশে নারিশা পশ্চিম চর এলাকায় আসামিরা নজরুল ইসলামকে পিটিয়ে আহত করে। এ সময় তার স্ত্রী সূর্যভান এগিয়ে এলে তাকেও আঘাত করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় নজরুল ইসলামকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওই ঘটনায় ওই দিনই নিহত নজরুলের মামা নাজিমুদ্দিন আহমেদ বাদী হয়ে দোহার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন ওই বছরের ২৬ জুলাই এ মামলায় ১৭ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০০৯ সালের ২৫ মে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এছাড়া মামলায় বিভিন্ন সময় মোট ১৪ জন সাক্ষ্য দেন।
রায়ে সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি কাজি সাহানারা ইয়াসমিন।