শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে পরিচিত নিউজিল্যান্ডে গত শুক্রবার ঘটে যায় স্মরণকালের বর্বরোচিত হামলা। জুমার নামাজের জন্য উপস্থিত হওয়া নিরস্ত্র মুসল্লিদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায় এক বন্দুকধারী। দুটি মসজিদে তার হামলায় নিহত হয় নামাজের জন্য আসা বিভিন্ন দেশের ৫০ জন নারী-পুরুষ-শিশু।
ওই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে এবং মুসলমানদের সাথে সংহতি প্রকাশ করতে আগামী শুক্রবার (২২ মার্চ) হিজাব পড়বেন নিউজিল্যান্ডের সব ধর্মের নারীরা। এ কর্মসূচির নাম দেয়া হয়েছে ‘সম্প্রীতির জন্য হিজাব’।
মুসলিমদের সাথে দীর্ঘদিন করে কাজ করে আসা থায়া আশমান নামের এক নারী এ আয়োজনের উদোক্তা। এ আয়োজনের কারণ হিসেবে তিনি বলেন, আমি এক আতঙ্কিত নারীর কথা শুনেছি যিনি ওই হামলার পর হিজাব পরে বের হতে ভয় পাচ্ছেন। কারণ হিজাব পরার কারণে সন্ত্রাসীরা তাকে লক্ষ্য করে হামলা চালাতে পারে।
আশমান বলেন, আমি বলতে চাই, ‘আমরা আপনার সঙ্গে আছি, আমরা চাই আপনি ঘরের মতো রাস্তাতেও যেন নিরাপদবোধ করেন, আমরা আপনাকে ভালোবাসি, সমর্থন ও শ্রদ্ধা করি।’
আশমান এ কর্মসূচি সফল করতে আগামী শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের সব নারীকে হিজাব পরার আহ্বান জানিয়েছেন। নিউজিল্যান্ডে বসবাসরত সব মুসলিম সম্প্রদায় এই ধারণাকে সমর্থন দিয়েছে। ইসলামি উইমেন’স কাউন্সিল অব নিউজিল্যান্ডের নেতারা বলেছেন, সংহতির এই উদ্যোগ আমাদের সম্প্রদায়ের মানুষেরা ইতিবাচকভাবে নিয়েছে। নিউজিল্যান্ড মুসলিম অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইখলাক কাশকারি এ কর্মসূচিকে ‘সুন্দর ধারণা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
আশমানসহ অন্য আয়োজকরা জানান, আমরা গত শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চে সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারানো ৫০ জন মা, বাবা, সন্তান, সহকর্মী ও বন্ধুদের প্রতি ভালোবাসা ও সমর্থন ও সহমর্মিতা জানাতে চাই। মুসলিম কমিউনিটি যে অসহনীয় অবস্থার স্বীকার হয়েছে, এ কঠিন দুঃসময়ে আমরা তাদের পাশে দাঁড়াতে চাই। নিউজিল্যান্ডের মানুষ এই শোকে শোকাহত।