নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলার পর থেকে এর নিন্দা অভ্যাহত রয়েছে। সারা বিশ্বের মুসলিমদের মতো অনেক অমুসলিমও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। এই প্রতিবাদে শরীক হয়েছে ক্রীড়াঙ্গনের সদস্যরা।সহমর্মিতার পাশাপাশি প্রতিবাদ জানিয়েছেন নানা অঙ্গনের খেলোয়াড়েরা। কিউইদের মানসিক দায় আরও বেশি। দেশ আক্রান্ত হয়েছে সন্ত্রাসী হামলায়, সেখান থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে সফরকারী (বাংলাদেশ) দল; এই অবস্থায় নিউজিল্যান্ড ক্রীড়াঙ্গনের খেলোয়াড়েরাও চুপ করে বসে থাকেননি। যে যার মতো করে সহমর্মিতা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। কস্তা বারবারোস এই প্রতিবাদের মিছিলে হৃদয়ছোঁয়া এক নজির স্থাপন করলেন।
শনিবার রাতে অস্ট্রেলিয়ান ‘এ’ লিগে ব্রিসবেন রোয়ারের বিপক্ষে ২-১ গোলে জিতেছে মেলবোর্ন ভিক্টরি। মেলবোর্নের হয়ে দুটি গোলই করেছেন নিউজিল্যান্ডের ২৯ বছর বয়সী উইঙ্গার কস্তা বারবারোস। ২৪ মিনিটে প্রথম গোলটি করেন এই অমুসলিম ফুটবলার। এরপর ভাবলেশহীন মুখে মাঠের মধ্যেই হাঁটু মুড়ে বসে নামাজের মতো করে ‘সেজদা’ করেন। শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় বাংলাদেশিসহ প্রায় পঞ্চাশজনের মতো নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যাও কম নয়। এই ঘটনায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন নিউজিল্যান্ড সফরে থাকা বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভাল মাঠের কাছেই যে মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন তাঁরা, সেই মসজিদেই শুক্রবার সন্ত্রাসী হামলা হয়।
ম্যাচ শেষে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নিজের এই প্রতিবাদ নিয়ে ফক্স স্পোর্টসকে বারবারোস বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, ভীষণ বিধ্বস্ত লাগছে। ভীষণ আবেগের দিন। তাদের (হতাহত) কাছে এটা কিছু না, কিন্তু এটা বিশেষ কিছু।’ বারবারোসের এই গোল উদ্যাপন সাড়া ফেলেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। দল-মত-ধর্ম নির্বিশেষে সবাই তাঁর এই অভিনব প্রতিবাদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
বারবারোসের মতো তার দেশের লোকজনও সেখানকার ভীত-সন্ত্রস্ত মুসলিমের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। গণ অর্থায়নের ব্যবস্থা করেছে সবাই মিলে। এ ছাড়া হালাল খাবার এবং রাস্তা-ঘাটে মুসলিমের চলাচলে নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করছে সেখানকার অমুসলিম জনগণ। বারবারোস মাঠে ‘সেজদা’ দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন, তিনি-ও মুসলিম ভাইদের পাশে আছেন।