মায়ের জমি ভাগবাটোয়ারাকে কেন্দ্র করে আপন ভাইদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ভগ্নিপতিসহ অন্তত ৫জন মারাত্নক আহত হয়েছে। আহতদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি। সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে শরীয়তপুর জজকোর্টের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহত বিল্লালের বোন লাকি ও স্থানীয় সূত্রের বরাতে জানা গেছে, শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলার নাগেরপাড়া ইউনিয়নের চরভদ্রচাপ গ্রামের মৃত আলী আশ্রাফ মুন্সির স্ত্রী বকতরন নেছার জমি নিয়ে আশ্রাফ মুন্সির ছেলে বাচ্চু মুন্সি ও অপর ভাই বিল্লাল মুন্সির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ বিরোধের জের ধরে আজ সোমবার বিকালে শরীয়তপুর ডিবি পুলিশ কার্যালয় দুই পক্ষের মিমাংসার জন্য শালিস বৈঠক হয়। কিন্তু উভয়পক্ষের কাগজপত্রের জটিলতার কারনে বিষয়টি সুরাহা হয়নি।
পরে তারা দুইপক্ষের লোকজন নিয়ে ডিবি কার্যালয় থেকে বের হয়ে শরীয়তপুর কোর্টের সামনে গিয়ে তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ সময় বাচ্চু মুন্সি (৪২) সুমন মুন্সি (২৫) ফারুক মুন্সি (২৮) বিল্লাল মুন্সি (৩৫) ও তাদের ভগ্নিপতি মানিক সিকদার (৪০) আহত হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।
আহত বাচ্চু মন্সি বলেন, ডিবি কার্যালয় থেকে দরবার শেষে বের হওয়ার পর আমার ভগ্নিপতি মানিক সিকদার আমাদের উপর হামলা চালায়।
বিল্লাল মুন্সি বলেন, আমার মায়ের সব জমি বাচ্চু মুন্সি ও বোন তাহমিনা দলিল করে নিয়ে গেছে। এ জমি নিয়ে আজকে ডিবি কার্যালয় দরবার হয়। পুণরায় দরবারের তারিখ পড়ায় আমরা বের হয়ে কোর্টের সামনে আসলে বড় ভাই বাচ্চু মুন্সির সঙ্গে কথাকাটাকটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাধে।
শরীয়তপুর ডিবির এস আই শেখ আশ্রাফুল বলেন, মায়ের জমি নিয়ে ভাইদের মধ্যে বিরোধের কারণে আজকে মিমাংসা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সাক্ষী আনতে না পারায় পুনরায় সময় তারিখ নির্ধারণ করে দেয়া হয়। বাইরে গিয়ে কি হয়েছে তা আমার জানা নাই।