ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) এবং হল নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি-জামায়াত সমর্থক শিক্ষকদের প্যানেল সাদা দল। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মিডিয়ার ওপর অতিমাত্রায় নিয়ন্ত্রণ আরোপ এবং অস্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে নির্বাচন আয়োজন এবং রীতি বহির্ভূত ভোট গণনা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে তারা এ শঙ্কা প্রকাশ করে।
রোবাবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বলা হয় গণতন্ত্রের সূতিকাগার। গোটা জাতি প্রত্যাশা করে ডাকসু নির্বাচনে কর্তৃপক্ষ একটি অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অতীত গৌরব ও সুনাম অক্ষুন্ন রাখবে। তবে প্রকৃত পরিস্থিতি বিবেচনায় এ নির্বাচন কতটুকু অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে এ নিয়ে সকলের মনেই সংশয় ও উদ্বেগ রয়েছে।
নির্বাচনী কমিটিগুলোতে ভিন্নমতের শিক্ষক নেই জানিয়ে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ১৮ হল সংসদ নির্বাচনে প্রশাসন সমর্থক শিক্ষক ছাড়া ভিন্নমতের কোন একজন প্রভোস্ট ও হাউজ টিউটর নেই। ফলে নির্বাচন পরিচালনায় গঠিত নির্বাচন কমিশনে শিক্ষকদের অন্তর্ভূক্তির সুযোগ ছিল এবং আমাদের পক্ষ থেকে ভিসির কাছে এ দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু আমাদের দাবি উপেক্ষা করা হয়।
নির্বাচনে শঙ্কার বিষয়ে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে সাদা দলের প্রচার সচিব অধ্যাপক ড. মো. ছিদ্দিকুর রহমান খান বলেন, ডাকসু নির্বাচনে স্বচ্ছ ব্যালট বক্সের ব্যবস্থা নেই। স্বচ্ছ ব্যালট বক্সের বদলে সেখানে অস্বচ্ছ স্টিলের বক্স দেওয়া হয়েছে। জাতীয় নির্বাচন স্বচ্ছতার সাথে করার জন্য স্টিলের বক্স থেকে স্বচ্ছ ব্যালট বক্সের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু নির্বাচনে কারচুপি করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন স্বচ্ছ ব্যালট বক্সের পরিবর্তে অস্বচ্ছ ব্যালট বক্সের ব্যবহার করছে। তিনি বলেন, সর্বশেষ অনুষ্ঠিত ১৯৮৯-৯০ এবং ১৯৯০-৯১ এর নির্বাচনে ডাকসু নির্বাচনে হলের ভোট হলে গণনা করা হতো আর কেন্দ্রীয় সংসদের ভোট কেন্দ্রীয়ভাবে গণনা করা হতো। বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনে একটি বুথ বসিয়ে সেখানে এ গণনা কাজ করা হতো। কিন্তু চলতি নির্বাচনে হলে হলে ভোট গণনা করা হবে। এতে করে ভোট কারচুপির আশঙ্কা থেকে যায়।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন সাদা দলের কলা অনুষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক আবুল কালাম সরকার, ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি অনুষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো নুরুল আমিন, অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম, শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান সাবরিনা শাহনাজ প্রমুখ।