স্টাফ রিপোর্টার : ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া প্রকাশ্য দিবালোকে আ: রশিদ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটলেও খুনিরা এখনো অধরা। এনিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারে ক্ষোভ অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। খুনিদের পুলিশ এখনও গ্রেফতার করতে না পারায় স্থানীয়ভাবে সাধারণ মানুষ খুনিদের ক্ষমতার বিশালত্ব নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
নিহতের পরিবার সূত্র জানায়, গত ৩০ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন উপজেলার ছনকান্দা গ্রামে বাজারে যাওয়ার পথে আ: রশিদকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে আহত করে স্থানীয় দেলোয়ার (৪২), শামীম (৪২), মুরাদ (৪২), ফরিদ (৪০), শরিফুল (২৫), রুহুল (৪৮), তুহিন (৪০), রাসেল (৩০), কামরুজ্জামান (৩৮), সুজন (২৫), আনিছ (২৪), সিরাজ (৪০), রুমান (৩৮), খাইরুল (৩৮), জাহাাঙ্গীর (৪০), হেলাল (৪৫)। পরে চলতি বছরের ৩ জানুয়ারী ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে রশিদ। এ ঘটনায় গত ৪ জানুয়ারী নিহতের পুত্র আলমগীর হোসেন আলম বাদি হয়ে ফুলবাড়ীয়া থানায় ১৬জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলার একটি এজাহার দায়ের করেন। কিন্তু থানা পুলিশ রহস্যজনক কারনে আসামীদের নাম অজ্ঞাত রেখে মামলাটি নথিভুক্ত করেন বলে দাবি করেছেন মামলার বাদি আলমগীর হোসেন আলম।
বাদি আরো জানান, থানা পুলিশের এমন কান্ডে মামলার বিচার না পাওয়ার আশংকায় দেখা দেওয়ায় এক আবেদনের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত মামলাটি সিআইডি পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেছেন। ঘটনার দুই মাস পেরিয়ে গেলেও খুনিরা প্রকাশ্যে ঘুরছে। কিন্তু পুলিশ তাদের ধরছে না। ফলে বিচার নিয়ে আমি শঙ্কিত।
এবিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সিআইডি পুলিশের উপ-পরিদর্শক রূপক সরকার জানান, সম্প্রতি মামলাটি সিআইডিতে এসেছে। দ্বায়িত্ব পেয়ে মামলার তদন্ত কাজ শুরু করেছি। আশা করছি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘটনার মূলহোতাদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।