টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাত্র ৪৫ রানে অলআউটের লজ্জা পেতে হয়েছে গেইল-হোল্ডারদের। টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর এটি।
এই ম্যাচ ম্যাচ জিতে এক ম্যাচ হাতে রেখেই তিন ম্যাচ সিরিজে ২-০ শূন্যতে জয় নিশ্চত করলো ইংল্যান্ড। আগে ব্যাট করে ইংল্যান্ডের করা ৬ উইকেটে ১৮২ রানের জবাবে ক্যারিবীয় ব্যাটিংলাইন ধসে পড়ে মাত্র ৪৫ রানে। দুই ওপেনার ক্রিস গেইল ও শাই হোপকে ফিরিয়ে ইংলিশ পেসার ডেভিড উইলি শুরু করার পর স্বাগতিক মিডল অর্ডার ধসিয়ে দিয়েছেন আরেক পেসার ক্রিস জর্ডান।
মাত্র ২০ রানেই যে তারা হারিয়ে ফেলে প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানকে। ক্রিস গেইল (৫), শাই হোপ (৭), ড্যারেন ব্রাভো (০), জেসন হোল্ডার (০) এবং নিকলাস পুরানের (১) মধ্যে কেউই দুই অঙ্কে যেতে পারেননি। ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ৮ জনই আউট হয়েছেন এক অঙ্কের ঘরে।
টি-টোয়েন্টিতে শক্তিশালী দল হিসেবে বিবেচিত ওয়েস্ট ইন্ডিজের এমন ব্যাটিং অনেককেই অবাক করেছে। ক্রিস জর্ডান মাত্র ২ ওভার বোলিং করে ৬ রান খরচ করে ৪ উইকেট নিয়েছেন। তার বলের সামনে দাড়তেই পারেনি ব্যাটসম্যানরা। ১১ দশমিক ৫ ওভারে তারা অলআউট হয় ৪৫ রানে।
এটি টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর। ২০১৪ সালে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩৯ রানে অলআউট হয়ে এ রেকর্ডে সবার ওপরের নামটি নেদারল্যান্ডসের। তবে আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই ৪৫ রানই সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ। এতদিন ধরে যা ছিলো নিউজিল্যান্ডের নামের পাশে। ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রামেই ৬০ রানে অলআউট হয়েছিল কিউইরা। এই বিব্রতকর রেকর্ড থেকে তাদের মুক্তি দিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
এর আগে সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় ইয়ন মরগ্যানের দল। জো রুট ৭ চারের মারে ৪০ বলে খেলেন ৫৫ রানের ইনিংস। তবে শেষদিকে ঝড় তোলেন স্যাম বিলিংস। মাত্র ৪৩ বলে ১০টি চারের সঙ্গে ৩টি বিশাল ছক্কা হাঁকিয়ে করেন ৮৭ রান। তার ইনিংসেই মূলত ১৮২ পর্যন্ত যায় ইংল্যান্ডের সংগ্রহ।
১৩৭ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় ইংল্যান্ড। যা কি-না ইংলিশদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ব্যবধানের জয়। এছাড়া আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এর চেয়ে বড় ব্যবধানের জয়ের রেকর্ড রয়েছে কেবল ৩টি।
প্রথম ম্যাচ জিতে আগেই সিরিজ জয়ের পথ সহজ করেছিল ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় ম্যাচেও জিতে সিরিজ জেতা নিশ্চিত করলো ইয়ন মরগানের দল। এবার তৃতীয় ম্যাচে তারা মাঠে নামবে স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশ করার লক্ষ্যে। আর সেটি সম্ভব হলে বিশ্বকাপের আগে ইংল্যান্ড দল থাকবে ফুরফুরে মেজাজে। দেশের মাটিতে এমনিতেই স্বাগতিক দল ফেবারিট হিসেবে বিশ্বকাপ খেলতে নামবে। তার ওপর ক্যারিবীয় সফরে সীমিত ওভারের সফলতা তাদের আরো শক্তি জোগাবে।