ব্যাট হাতে দলকে লড়াই করার মতো স্কোর এনে দেয়া, আর বল হাতে প্রতিপক্ষকে চেপে ধরা- এই একজন অলরাউন্ডারের কাজ। শুক্রবার সেটিই আরো একবার করে দেখালেন আফগানিস্তানের রশিদ খান। তাই আরো একবার ক্রিকেট বিশ্ব দেখলো কেন সাকিবকে টপকে রশিদ খান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে।
লেগ স্পিনার থেকে অলরাউন্ডার হয়ে ওঠা রশিদের নৈপুণ্যে ভারতের দেরাদুনে অনুষ্ঠিত ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেল আফগানরা।(একটি ম্যাচ পরিত্যাক্ত হয়েছে)
২০ বছর রশিদ প্রথমে ব্যাট হাতে ৫৮ রানের ইনিংস খেলে দলকে এনে দিয়েছেন লড়াই করার মতো পুঁজি, পরে বল হাতে মাত্র ২২ রান খরচায় ২ উইকেট নিয়ে থামিয়েছেন আইরিশদের জয়ের স্বপ্ন। যার ফলে মাত্র ২২৩ রান করেও ১০৯ রানের বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে আফগানিস্তান।
দেহরাদুনে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে টসে জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন আইরিশ অধিনায়ক উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড। তার সিদ্ধান্তের প্রতি সঠিক বিচার করে মাত্র ৬৭ রানেই আফগানদের প্রথম পাঁচ উইকেট তুলে নেন টিম মুরতাঘ, এন্ডি ম্যাকব্রাইনরা। প্রতিরোধ গড়েন অধিনায়ক আসগর আফগান। তিনি ৫৪ রান করে আউট হলে আবার বিপদে পরে আফগানরা। সেখান থেকে দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নেন রশিদ খান। অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবীর সাথে অষ্টম উইকেটের জুটিতে যোগ করেন ৮৬ রান। দলীয় ২১৭ রানের মাথায় আউট হওয়ার আগে ৬ চারের মারে ৬৪ রান করেন নবী।
ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম বলে আউট হওয়ার আগে নিজের চতুর্থ ওয়ানডে ফিফটি তুলে নেন রশিদ। ৫৮ বলে ৬ চার ও ১ ছয়ের মারে খেলেন ৫২ রানের সাহসী ইনিংস। আফগানদের ইনিংস থামে ২২৩ রানে।
২২৪ রানের মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বেশিদূর যেতে পারেনি আয়ারল্যান্ড। ১১৪ রানেই অলআউট হয়ে যায় তারা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন কেভিন ও’ব্রায়েন। অধিনায়ক পোর্টারফিল্ডের ব্যাট থেকে আসে ২১ রান। আফগানদের পক্ষে বল হাতে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন আফতাব আলম। এছাড়া ২টি করে উইকেট নেন মুজিব উর রহমান এবং রশিদ খান।