খুব শীঘ্রই বাংলাদেশ উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে

অচিরেই বাংলাদেশ উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের জনকল্যাণমূলক অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের কারণেই লক্ষ্যভুক্ত সময়ের মধ্যেই অর্থ্যাৎ ২০৪১ সালের মধ্যেই উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতায় গত বছরের মার্চে জাতিসংঘ বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়শীল দেশে উত্তরণের বিষয়টি নিশ্চিত করে।

প্রধানমন্ত্রী বুধবার সংসদে তার জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সদস্য এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের অদম্য অগ্রযাত্রার ফলে ৮০ দশকের তলাবিহীন ঝুড়ির অপবাদ কাটিয়ে বাংলাদেশ আজ উন্নয়ন বিস্ময় হয়ে উঠেছে। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হচ্ছে। আন্তর্জাতিকভাবেও এটা আজ স্বীকৃত।

তিনি বলেন, সরকারের এ সব সাফল্যের কারণেই বর্তমানে জাতীয় প্রবৃদ্ধি ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাশপাশি মাথাপিছু আয় বিএনপি আমলের ৫৪৩ ডলার থেকে তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়ে ১ হাজার ৭৫১ মার্কিন ডলার।

দ্রুততম সময়ে সব ক্ষেত্রে অগ্রগতি অর্জন করতে তাঁর সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ বিশেষ করে রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ এর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসবকে সামনে রেখে মধ্য মেয়াদী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছে। এর পরই সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ফলে সরকারের বিগত দুই মেয়াদে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সঞ্চয়-বিনিয়োগ বৃদ্ধি, রাজস্ব আয়, বাজেটের আকার, বৈদেশিক বাণিজ্য, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া মূল্যস্ফীতি এবং দারিদ্র্যের হার ব্যাপকভাবে হ্রাস করা সম্ভব হয়েছে।

তিনি সরকারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে এ সময়ের মধ্যে মাথাপিছু আয় ২ হাজার ডলার, ’৩১ সালে ৫ হাজার ৫শ’ ও ’৪১ সালে ১৬ হাজার মার্কিন ডলারে উন্নীত এবং ’২১ সালে গড় প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশ অর্জিত হবে। ২০২১ সাল বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে উদযাপন করবে। আর ২০২০ সাল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে মুজিব বর্ষ উদযাপন করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সমৃদ্ধ-উন্নত সোনর বাংলা প্রতিষ্ঠায় দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই আওয়ামী লীগ সরকারের মূল লক্ষ্য। আর এ লক্ষ্য পূরণে নিরলসভাবে কাজ করতে সরকার অঙ্গীকারাবদ্ধ।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top