অবশেষে চাকরিচ্যুত হলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের বিতর্কিত মহাব্যবস্থাপক (জিএম) প্রভাষ চন্দ্র মল্লিক। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যাংক ও সহকর্মীদের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে তা ফেরত না দেয়ার অভিযোগ ছিল। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সাময়িক বরখাস্ত থাকা অবস্থায় গত রোববার তাকে চূড়ান্তভাবে চাকরিচ্যুত করল বাংলাদেশ ব্যাংক। ওইদিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের এক আদেশের মাধ্যমে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এর ফলে তিনি চাকরি পরবর্তী কোনো সুযোগ-সুবিধা আর পাবেন না বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের আদেশে বলা হয়েছে, বগুড়া অফিসের সাময়িক বরখাস্তকৃত মহাব্যবস্থাপক প্রভাষ চন্দ্র মল্লিকের বিরুদ্ধে এইচআরডি-২ থেকে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে বাংলাদেশ ব্যাংক স্টাফ রেগুলেশন ২০০৩ এর ৪৪(১)(জি) ধারার আওতায় তাকে চাকরিচ্যুত করা হলো।
জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমোদন ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তা অন্য ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারেন না। কিন্তু প্রভাষ চন্দ্র মল্লিক বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো কর্তৃপক্ষের অনুমোদন না নিয়েই প্রভাব খাটিয়ে ১৫টি বাণিজ্যিক ব্যাংক ও ১টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ২০১৭ সালের জুলাই পর্যন্ত ৮৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। এর মধ্যে ১১টি ব্যাংকের ৫৩ লাখ ৩৯ হাজার ৫৮৬ টাকা ছিল মন্দমানের খেলাপি। আরো তিনটি ব্যাংকের ১০ লাখ ১১ হাজার টাকা সন্দেহজনক মানে শ্রেণীকৃত। শুধু ব্যাংক নয়, নানা কৌশলে সহকর্মীদের কাছ থেকেও লাখ লাখ টাকা ধার নিয়ে আর ফেরত না দেয়ার অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে।
এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১৭ সালের ৯ অক্টোবর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এরপর এ বিষয়ে গঠিত একটি তদন্ত কমিটি তাদের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। তাতে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এরই ভিত্তিতে গত রোববার তাকে চাকুরিচ্যুত করা হয়।