অরুন্ধতী রায়ের বক্তৃতা অনুষ্ঠানের অনুমতি বাতিল

ভারতের প্রখ্যাত লেখিকা অরুন্ধতী রায়ের ঢাকায় বক্তৃতা অনুষ্ঠানের অনুমতি বাতিল করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন কমপ্লেক্স মিলনায়তনে অতিথিদের সাথে নিজের লেখকজীবন নিয়ে কথা বলার কথা ছিল তার। কিন্তু বক্তৃতা অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি দিয়েও শেষ পর্যন্ত তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে পুলিশ।

দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ আলোকচিত্র উৎসব ছবিমেলায় অংশ নিতে তিনি বাংলাদেশে এসেছেন। ছবিমেলার আয়োজকেরা জানান, গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে তেজগাঁও থানা-পুলিশ বক্তৃতা অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি বাতিল করা হয়েছে জানিয়ে তাদের চিঠি দিয়েছে। কী কারণে অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি বাতিল করা হলো, এর কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি পুলিশ।

কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন কমপ্লেক্স মিলনায়তন কর্তৃপক্ষও চিঠি দিয়ে আয়োজকদের জানিয়ে দিয়েছে, পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনারের পাঠানো চিঠি অনুযায়ী, তারা আর মিলনায়তনটি ব্যবহার করতে দিতে পারছেন না।

আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ ব্যাপারে অরুন্ধতী রায়ের আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাছ থেকেও আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ছবিমেলার সমন্বয়ক এ এস এম রেজাউর রহমান গত ১৬ ফেব্রুয়ারি পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনারের কাছে অরুন্ধতী রায়ের স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি চেয়ে চিঠি লেখেন। ২৫ ফেব্রুয়ারি পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার শর্ত-সাপেক্ষে নিজস্ব নিরাপত্তাব্যবস্থায় অনুষ্ঠানটি আয়োজনের অনুমতি দেন। শর্তগুলোর মধ্যে একটি ছিল- কোনো কারণ দর্শানো ছাড়া কর্তৃপক্ষ এই অনুমতির আদেশ বাতিল করতে পারবে।

এক দিন পর ২৬ ফেব্রুয়ারি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট কমপ্লেক্স মিলনায়তনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে চিঠি দেন ছবিমেলার সমন্বয়ক। এতে তিনি লেখেন, অরুন্ধতী রায় তার বক্তৃতায় নিজের লেখকজীবন সম্পর্কিত অভিজ্ঞতা ও নানা বিষয় নিয়ে কথা বলবেন।

মিলনায়তনের ভাড়া হিসেবে আয়োজক কর্তৃপক্ষ ১ লাখ ৭৫ হাজার ৯৫০ টাকা দেন।

অনুষ্ঠানের এক দিন আগে গতকাল ৪ মার্চ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন কর্তৃপক্ষ চিঠি দিয়ে আয়োজকদের (ছবিমেলা) জানায়, মিলনায়তনের বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে।

জানা যায়, বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলোকচিত্রী শহিদুল আলম অরুন্ধতীর দিল্লির বাড়িতে গিয়ে তাকে ঢাকা আসার আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছিলেন। আমন্ত্রণ জানানোর অল্প কদিন পরই শহিদুল গ্রেফতার হন। শহিদুলের মুক্তি চেয়ে অরুন্ধতী একটি খোলা চিঠি লিখেছিলেন।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top