গো-মূত্রের পর এবার মনুষ্য মূত্র নিয়ে নতুন ফর্মুলা দিয়েছেন ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি। তিনি বলেছেন, ইউরিয়া আমদানি করার খুব একটা প্রয়োজন নেই। বরং এর জন্য মূত্র বা ইউরিন সঞ্চয় করলেই হবে।
গত রোববার নাগপুরের একটি সভায় ভারতের সড়ক পরিবহন ও হাইওয়ে মন্ত্রী নিতিন গড়কাড়ি এ প্রস্তাব দেন। তার ভাষায়, মূত্র সঞ্চয় করলে ভারতকে কৃষিকাজের উন্নতির জন্য আর দেশের বাইরে থেকে মূল্যবান সার আনাতে হবে না । এজন্য তিনি বিমানবন্দরে মূত্র সঞ্চয়েরও প্রস্তাব দিয়েছেন।
নিতিন বলেন, জৈব সার হিসেবে মানুষের মূত্র ব্যবহার করা যেতে পারে।
এর আগে গো-মূত্রের প্রয়োজনীয়তার কথা বিজেপির বেশ কয়েকজন নেতা মন্ত্রীর মুখে শোনা গিয়েছে এর আগেও। তবে এবার নাগপুর মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনের ‘মেয়র ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এ ধরনের প্রস্তাবে অবাক হয়ে গিয়েছেন অনেকেই।
নিতিন তার বক্তৃতায় শুধু এ ফর্মুলাই দেননি। বরং এর গুরুত্বও বোঝানোর চেষ্টা করেন। জৈব সার কী ভাবে প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি করা যেতে পারে, এমন কয়েকটি পদ্ধতির কথাও বলেন। সেই প্রসঙ্গেই মানুষের মূত্র সঞ্চয়ের কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, মানুষের মূত্র সঞ্চয় করলে তা থেকে অ্যামোনিয়াম সালফেট ও নাইট্রোজেন পাওয়া সম্ভব।
তিনি বলেন, ‘বিমানবন্দরে মূত্র সঞ্চয়ের কথা বলেছি আমি। আমরা ইউরিয়া আমদানি করি। কিন্তু যদি দেশজুড়ে মূত্র সঞ্চয় করা যায়, তবে কিছুই আর ফেলতে হবে না।’
অবশ্য তিনি নিজেই বলেন, অন্য কেউ তার সঙ্গে সহমত হতে চান না, কারণ তার দেয়া প্রস্তাবগুলো অভিনব।
কয়েক বছর আগে নিতিন জানিয়েছিলেন, নিজের মূত্র সঞ্চয় করেন তিনি। দিল্লির বাংলোর বাগানে সার হিসেবে তিনি এগুলো ব্যবহারও করেন। এর ফলে তার বাগানের ফলন ২৫ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে বলেও উল্লেখ করেছিলেন তিনি। এছাড়া চুলের বর্জ্য জমিয়ে অ্যামাইনো অ্যাসিড বের করার উদাহরণও দিয়েছিলেন তিনি।