বিজেপি মন্দির-হিন্দুত্বে আছেই। জাতীয় নির্বাচনের মুখে এখন চলছে জাতীয়তাবাদের হাওয়া তোলার ধুন্ধমার চেষ্টা।
বিহার রাজ্যের পাটনায় ভারতের প্র্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রোববারের সভা সে অর্থে খানিকটা আলাদা। এখানে মুসলমানদেরও আলাদা করে বার্তা দিলেন তিনি। হজযাত্রার প্রসঙ্গ টেনে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সাম্প্রতিক ভারত সফরের কথার উল্লেখ করেন তিনি। হজযাত্রায় ভারতের কোটা বাড়িয়ে ২ লক্ষ করা ও সৌদি আরবে বন্দি ৮৫০ জন ভারতীয়ের মুক্তির কথা বিশেষ জোর দিয়ে তুলে ধরেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর দাবি, তার অনুরোধেই এ বার দেশ থেকে হজ যাত্রীর কোটা বাড়িয়েছেন সৌদি যুবরাজ। দেশের মুসলমানদের আর্থিক উন্নতির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘দেশে দারিদ্র সীমারেখা পার করছেন অনেক মানুষ। সে কারণেই হজে যেতে চাইলেও অনেকে পারছেন না। তাই হজের কোটা বাড়াতে অনুরোধ করেছিলাম।’’ ভারতই প্রথম দেশ, যেখান থেকে এত লোককে হজযাত্রার অনুমতি দিয়েছে সৌদি আরব।
সৌদির জেল থেকে ভারতীয়দের ছাড়ানোর বিষয়টিও পাটনার সভায় সবিস্তার তুলে ধরেন মোদি। বিহারের সিওয়ান-সহ বেশ কয়েকটি জেলা থেকে সে দেশে কাজ করতে গিয়ে আইন কানুন না-জানার কারণে অনেকে নানা অপরাধে অভিযুক্ত হন। তাদের বেশির ভাগই মুসলমান। বন্দি পরিবারের লোকেরা বারবার সরকারের কাছে আপনজনের মুক্তির দাবি জানিয়ে আসছেন। সৌদি যুবরাজের কাছে সেই প্রস্তাব দিয়েছিল ভারত। এ বারের সফরে সেই প্রস্তাবে সায় দিয়ে ৮৫০ জনকে মুক্তি দেয়ার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। এদের অনেকেই বিহারের। সভায় সেই প্রসঙ্গও তোলেন মোদি।
বিহারের মুসলমান ভোটকে কিছুটা হলেও টানতে চান নীতীশ-রামবিলাস। এটা স্পষ্ট, তাদের সাহায্য করতেই মোদির মুখে তাই হজ ও বন্দিমুক্তির প্রসঙ্গ।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা