ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, জামায়াতকে দুর্বল করা গেলেও রাজনৈতিকভাবে পরাজিত করা যায়নি। তারা মিসরের মুরসি অথবা তুরস্কের এরদোগানে ফিরে আসতে চায়। আর সেই সময়টা জামায়াতকে সামাজিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রাখতে চায়। সেটা সময়ের ব্যাপার। ইতোমধ্যে তার জায়গা নিতে চাচ্ছে ‘মোল্লাতন্ত্র’ যার প্রধান পৃষ্ঠপোষক হেফাজত। কওমি সনদের স্বীকৃতি দিয়ে বিষবৃক্ষ রোপণ করা হচ্ছে কিনা সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে বলেও মন্তব্য করেন মেনন।
গতকাল সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া সভাপতিত্ব করছিলেন।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন আল্লামা শফী, হেফাজতে ইসলামসহ কওমি আলেমদের ব্যাপারে আশঙ্কা ব্যক্ত করে বলেন, তেঁতুল হুজুরের আবদারে পাঠ্যপুস্তকে কুসুমকুমারীর ‘আমাদের দেশে কবে সেই ছেলে হবে, কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে,’ কবিতাসহ রবীন্দ্রনাথ- দ্বিজেন্দ্রনাথ সবাই নির্বাসিত হন। মনে হয় আমরা খাজা শাহাবুদ্দিনের যুগে ফিরে যাচ্ছি। সেই পাকিস্তানের প্রথম যুগের মতো নজরুল কবিতার মুসলমানি করিয়ে হয়তো আমাদের সজীব কবির মহাশ্মশান’র বদলে,‘সজিব করিব গোরস্থান’ বলে আবৃত্তি করতে হবে। তিনি বলেন, তেঁতুল হুজুরের দল প্রধানমন্ত্রীকে কওমি জননী উপাধি দিয়েছেন। তাদের শিক্ষার মূল ধারায় ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। কিন্তু আমরা বিষবৃক্ষ রোপণ করছি কিনা সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি বলেন, এটা সত্য অতি উৎসাহী কিছু প্রশাসনিক কর্মকর্তারা বাড়াবাড়ি করেছে। কিন্তু তাতে এই নির্বাচন অশুদ্ধ বা অবৈধ হয়ে যায়নি। তাই বলে আমাদেরও আত্মতৃপ্তির অবকাশ নাই। বরং জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দল অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন ও জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের যে আন্দোলন করে আমরা সফলতা অর্জন করেছিলাম, তা যেন এভাবে হারিয়ে না যায় সে ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে।