এরশাদ রংপুরে

সিঙ্গাপুর থেকে চিকিত্সার পর এবং বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ প্রথম রংপুরে এলেন। আজ রোববার তিনি এখানে এসে পৌঁছালে তাকে দেখতে অনেক লোকসমাগম হয়। নেতাকর্মী, সাধারণ মানুষ ছাড়াও সিটি করপোরেশন তোড়ণ বানিয়ে ফুল আর পাঁপড়ি ছিঁটিয়ে তাকে অভিনন্দন জানান। তবে তিনি সাংবাদিকদের সাথে কোনো কথা বলেননি।

নির্বাচনের পর জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সিঙ্গাপুরে চিকিৎসার জন্য গেলে তাকে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রোপাগান্ডা হয়। রংপুরের মানুষ তার সুস্থতার জন্য মসজিদে মসজিদে বাড়িতে বাড়িতে, অফিসে অফিসে দোয়া মোনাজাত করেন। তিনি সুস্থ হয়ে ঢাকায় ফিরলে রংপুরের মানুষ তাকে দেখার জন্য উম্মুখ হয়ে থাকেন। এমন প্রেক্ষিতে রোববার তার রংপুর আগমনে হাজার হাজার মানুষের ঢল নেমেছিল নগরীতে।

দুপুর ১২টায় তিনি হেলিকপ্টারযোগে রংপুর ক্যান্টনমেন্টে আসেন। সেখানে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এসএম ফখর-উজ-জামান জাহাঙ্গীর, মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসির, জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সম্পাদক হাজি আব্দুর রাজ্জাক, শাফিউল ইসলাম শাফীসহ পদস্থ নেতৃবৃন্দ।

সেনানিবাস থেকে বের হওয়া মাত্রই সহস্রাধিক মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা দিয়ে সাবেক এই প্রেসিডেন্টকে নিয়ে যাওয়া হয় তার পৈত্রিক নিবাস নগরীর সেনপাড়ার স্কাইভিউ ভবনে যান। সেখানে গিয়ে তিনি পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলেন।

এরপর তিনি চলে যান নগরীর দর্শনায় তার বাসভবন পল্লী নিবাসে। সেখানে তিনি বাড়ি নির্মাণ কাজের অগ্রগতির খোঁজ খবর নিয়ে দেড়টায় আসেন নগরীর জিএল রায় রোডের তিনতারকা হোটেল গ্র্যান্ড প্যালেস। সেখানে তাকে ফুলের তোড়া আর পাপড়ী দিয়ে বরণ করে নেন নেতাকর্মীরা। এসময় তিনি হুইল চেয়ারে বসে হোটেলের প্রেসিডেন্ট স্যুটে যান।

ঢাকা থেকে তার সাথে সফরসঙ্গি হিসেবে আসেন মহাসচিব ও বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা, প্রেসিডিয়াম সদস্য মেজর (অব.) খালেদ আখতার, পুত্র এরিখ এরশাদ ও ব্যক্তিগত সহকারীরা।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top