ভারতীয় বিমান বাহিনীর দুটি যুদ্ধ বিমান পাকিস্তান ভূপাতিত করায় যুক্তরাষ্ট্র পুনরায় দক্ষিণ এশিয়ার পারমাণবিক শক্তিধর দেশ দুটির মধ্যে মধ্যস্থতা করবে বলে মনে করেন হোয়াইট হাউজের সাবেক কর্মকর্তা।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বরাক ওবামা সরকারের হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের অধীনে দায়িত্বে থাকা আফগানিস্তান ও পাকিস্তান অঞ্চলের পরিচালক শামিলা এন. চৌধুরী মনে করেন, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী কতৃক দুটি ভারতীয় যুদ্ধ বিমান ধ্বংস ও একজন পাইলটের আটকের ফলে যুক্তরাষ্ট্র পুনরায় নিজেদের স্বার্থেই আলোচনায় বসবে।
কংগ্রেসের সংবাদপত্র দ্য হিলে তিনি উল্লেখ করেন, পাকিস্তান ভারতের দুটি বিমান ভূপাতিত করার পরপরই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও উভয় দেশকেই সংযত হওয়ার অনুরোধ করেন এবং যেকোন মূল্যে যুদ্ধ থামানোর অনুরোধ করেন।
ফরেন অ্যাফেয়ার্সের হাউজ কমিটির চেয়ারম্যান কংগ্রাসম্যান ইলিয়ট এল. এঞ্জেল বলেন, ভারতের কাছে উইং কমান্ডার অভিনন্দনকে ফেরত দেয়া ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে আলোচনার জন্য একটি ভাল পদক্ষেপ হতে পারে।
সিনেটের ফরেন রিলেশন কমিটির শীর্ষ ডেমোক্রেট সিনেটর বব মেনেনন্ডেজ ট্রাম্প প্রশাসনকে দক্ষিণ এশিয়ার ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে স্থায়ী শান্তির পক্ষে জোরালো ভূমিকার রাখার আহবান জানিয়েছেন।
তিনি বর্তমান প্রশাসনকে মনে করিয়ে দেন, এর আগের রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটি প্রশাসনগুলো দক্ষিণ এশিয়ায় স্থায়ী শান্তি স্থাপনের জন্য সর্বোচ্চ পর্যায়ের অবদান রেখেছে।
তিনি বলেন, আমি ইসলামাবাদ ও নয়া দিল্লিকে তাৎক্ষণিকভাবে সংলাপ শুরু করার আহ্বান জানাচ্ছি।
গত বৃহস্পতিবার মাইক পম্পেও সাংবাদিকদের বলেন, ভারত ও পাকিস্তানের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে উভয় দেশকেই যেকোন ধরণের সংঘাত এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে।
শুক্রবার অধিকাংশ মার্কিন গণমাধমে প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়, ওয়াশিংটন নিয়মিত ইসলামাবাদ ও নয়া দিল্লির মধ্যে আলোচনা চালিয়ে আসছে। একই সাথে মার্কিন সেনাবাহিনী শান্তির পক্ষে থাকার আহবান জানিয়েছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্র কতৃক দক্ষিণ এশিয়ায় নিয়োজিত সাবেক মার্কিন ডেপুটি সেক্রেটারি এলিশা আরিশ বলেন, কারগিল সংকটের সময়ে পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ট মিত্র হওয়ায় যে অবদান রেখেছিল এখন যুক্তরাষ্ট্র সেই ধরণের অবদান রাখতে পারবে না।
সূত্র : ডন।