গতকাল অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া ঢাকার দুই সিটির নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার তিনটি কারণ উল্লেখ করেছেন সিইসি। সেই সাথে তিনি বলেছেন এ নির্বাচনে তিনি সন্তুষ্ট।
আজ শুক্রবার সকালে প্রথমবারের মতো জাতীয় ভোটার দিবস পালন উপলক্ষে এক শোভাযাত্রা শুরুর আগে সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান।
জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে গিয়ে শেষ হয়।
দিবস পালন বিষয়ে সিইসি বলেন, ‘ভোটার হব, ভোট দেব— প্রতিপাদ্যে প্রথমবারের দিবসটি পালিত হচ্ছে। ভোটারদের উৎসাহিত করাই এই দিবসের প্রধান উদ্দেশ্য। ভোটার নিবন্ধন একটি প্রক্রিয়া। তাই আলাদা দিবসের মাধ্যমে আমরা সেটি শুরু করতে চাইছি।’
গতকাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠেয় উত্তর সিটি নির্বাচন বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনে প্রধান বিরোধীদল অংশ নেয়নি। তবে, জনগণ ঠিকই অংশ নিয়েছেন। তাদের ভোটেই মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আতিকুল ইসলাম।’
নূরুল হুদা এ সময় ভোটার উপস্থিতি কমের ব্যাখ্যা দেন, ‘ঢাকা সিটি নির্বাচনে ভোটার কম হয়েছে। কারণ, এই নির্বাচনের মেয়াদ কম, বিএনপি অংশ নেয়নি। বৈরি আবহাওয়ার কারণেও ভোটার উপস্থিতি কম হয়েছে।’
এই নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা নেই বলেই বিএনপি সিটি নির্বিচনে আসেনি— এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এদেশের সংস্কৃতিই এটা, হেরে গেলেই অনাস্থা প্রকাশ করবে। আর এটি বিএনপির রাজনৈতিক বক্তব্য।’
সিইসি জোর দিয়ে বলেন, ‘আমরা মানুষের ভোটের অধিকার পুরোপুরি নিশ্চিত করেছি। জনগণকে নির্বিঘ্নে ভোট দেয়ার সুযোগ করে দিয়েছি।’
বৃহস্পতিবার ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানে উপজেলা পরিষদ, মেয়র পদে ও ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন/উপ-নির্বাচন হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকার দুই সিটির ভোটে ভোটার ছিল উল্লেখযোগ্য হারে কম।
বৃহস্পতিবার ভোটের দিন ভোরে রাজধানীতে হালকা বৃষ্টি হয়। এরপর জমে থাকে কালো মেঘ। তবে, দিনভর তা আর বৃষ্টি হয়ে ঝরেনি।
কিন্তু, বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোটার উপস্থিতি খুবই কম দেখা গেছে। অনেক কেন্দ্রে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের ভোটারের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
অবশ্য ঘোষিত ফলাফলে বলা হয়েছে, ৩১.০৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। যদিও ভোটের দিন দুপুরে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ প্রত্যাশা করেছিলেন, যেভাবে নির্বাচন হচ্ছে, তাতে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পড়বে।