ভারতীয় দুটি যুদ্ধ বিমান ভূপাতিত করার পর পাকিস্তানে জাতীয় বীরে পরিণত হয়েছেন দেশটির বিমান বাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার হাসান সিদ্দিকী। বিমান বাহিনীতের তার সতীর্থরা তাকে নিয়ে উল্লাস করছে এমন ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগা মাধ্যমে। সাধারণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা ব্যাপকভাবে প্রশংসা করছেন এই তরুণ কর্মকর্তার। পাকিস্তানের গণমাধ্যমেও তার বীরত্ব নিয়ে ফলাও করে প্রচার করা হয়েছে বিভিন্ন সংবাদ।
পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম দ্যা নিউজ লিখেছে, ভারতীয় আগ্রাসনের জবাবে বুধবার প্রকাশ্যে দিনের আলোতে তাদের দুটি বিমান ভূপাতিত করেন স্কোয়াড্রন লিডার হাসান সিদ্দিকী। এর একটি বিধ্বস্ত হয়েছে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মিরে আর অন্যটি গুলি লেগে আগুন ধরে যাওয়ার পর কোন মতে সীমান্ত পার হয়ে ভারতের মাটিতে এসে বিধ্বস্ত হয়েছে। পাকিস্তানের মাটিতে বিধ্বস্ত পাইলটকে আটক করে সেনা হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
পত্রিকাটি লিখেছে, হাসান সিদ্দিকীর এই সাফল্য মনে করিয়ে দিচ্ছে ১৯৬৫ সালের ৭ সেপ্টেম্বরে এয়ার কমোডর মোহাম্মদ মাহমুদ আলমের কথা যিনি একাই নয়টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছিলেন সেই যুদ্ধে। যার মধ্যে ৫টি ছিলো হকার হান্টার যুদ্ধবিমান।
বুধবার হাসান সিদ্দিকীর বিমান মাটিতে নেমে আসার পরই তাকে বীরে সংবর্ধনা দেয় বিমান ঘাঁটির কর্মকর্তারা। দুটি ভারতীয় বিমান বিধ্বস্ত করে ফেরার পর মাটি স্পর্শ করার সাথে সাথে তার বিমানকে ঘিরে ধরে পাকিস্তান বিমান বাহিনীর কর্মকর্তারা।
এমনকি পাকিস্তানের শীর্ষ রাজনীতিকদেরও অনেকে হাসানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জরতাজ গুল ওয়াজির বিমান ঘাঁটিতে হাসানকে নিয়ে অন্য কর্মকর্তাদের উল্লাসের একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন।
করাচি শহরের সন্তান হাসান সিদ্দিকীর বিস্তারিত পরিচয় অবশ্য প্রকাশ করা হয়নি পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যমগুলোতে।