আমি ওই বিমানে ছিলাম না : বাদল

ছিনতাইয়ের শিকার হওয়া বাংলাদেশ বিমানের উড়োজাহাজের যাত্রী ছিলেন না বলে জানিয়েছেন জাসদের (একাংশ) সভাপতি ও সংসদ সদস্য মইনুদ্দিন খান বাদল। তিনি বলেন, অনেক পত্রিকায় বলা হয়েছে- ছিনতাইয়ের চেষ্টার সময় আমি প্লেনে ছিলাম। কিন্তু তখন ওই প্লেনে আমি ছিলাম না। আমি প্রথমেই ভুলটা ভাঙিয়ে দিতে চাই।

সোমবার রাতে সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে একথা বলেন তিনি। এ সময় সাহসীকতার সাথে দায়িত্ব পালনের জন্য তিনি ওই বিমানের পাইলট ও ক্রুদের পুরস্কৃত করার আহ্বান জানান। বাদল সংসদে বলেন, ঢাকার ফেরার জন্য আমি বিমানবন্দরে যাওয়ার সাথে সাথে দেখি লোকজন ছোটাছুটি করছে। জিজ্ঞাসা করে জানলাম একটা প্লেন হাইজ্যাক হয়েছে। বলতে বলতে প্লেনটা ল্যান্ড করে।

তিনি বলেন, তখন আমার সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিংও ছিলেন। আমি মনে করলাম একজন সংসদ সদস্য হিসেবে আমাদের নৈতিক দায়িত্ব জানা। সেজন্য আমি বিমানবন্দরের টার্কমার্কে (যেখানে প্লেন নামে) চলে গেলাম।

বাদল আরো বলেন,  অস্ত্রধারী প্লেনের পেছন থেকে এসে গালাগাল করছিল। পাইলটকে বলেছিল তুমি দরজা খুলে দাও, পাইলট খুলে নাই। কতগুলো পত্রিকায় দেখলাম পাইলটের সঙ্গে মল্লযুদ্ধ হয়েছে। কেউ কেউ বলছে তখন সে একটা গুলি করেছে। পাইলট কখনো দরজা খোলেনি। পাইলট তাকে ব্যস্ত রাখতে আলোচনা করার চেষ্টা করেছে। তখন পাইলটকে ওই ব্যক্তি বলেছে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চান। পাইলট তাকে বলেছে প্রধানমন্ত্রী নিশ্চয়ই কথা বলবেন কিন্তু একটু সময় লাগবে। উদ্দেশ্য ছিল ব্যস্ত রাখা; যাতে কোনো যাত্রীর ক্ষতি না করে।

তিনি বলেন, ক্যাপ্টেন শফিক অত্যন্ত দুরদর্শিতার সঙ্গে অত্যন্ত ঠাণ্ডা মাথায় প্লেনটা চট্টগ্রামে ল্যান্ড করেন। ফ্লাইটের ক্রুরা যাত্রীদের আশ্বস্ত করার জন্য ভূমিকা রেখেছে। তারা সাহসিকতার সঙ্গে দুটা দরজা খুলে দেয়, তখন যাত্রীরা দ্রুত বের হতে শুরু করে।

তিনি বলেন, রিয়েল হিরোরা স্বীকৃতি পায় না। চট্টগ্রামে ক্যাপ্টেন গোলাম শফি এবং তার ফার্স্ট অফিসার মুনতাসির মাহবুব এবং ৫ জন ক্রুকে যথাযথভাবে পুরস্কৃত করা উচিত।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top