বোলারদের পারফরম্যান্সে খুশি হলেও রোববার বিশাখাপত্তনমে দলের ব্যাটিংয়ে সন্তুষ্ট হতে পারলেন না ভারতীয় দলের অধিনায়ক বিরাট কোহালি। প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে তিন উইকেটে হারার পরে বিরাট বললেন, ‘‘দেড় শ’ রান তুলতে পারলে হয়তো ম্যাচটা জিততাম আমরা।’’
রোববার সিরিজের প্রথম ম্যাচে শেষ বলে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় দু’রান করে অস্ট্রেলিয়াকে জেতান প্যাট কামিন্স। ১২৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে তাদের ১১৩ রানে সাত উইকেট পড়ে যায়। শেষ ওভারে ১৪ রান দরকার ছিল অস্ট্রেলীয়দের। উমেশ যাদবকে বল করতে আনেন বিরাট। কিন্তু তার দ্বিতীয় বলেই চার মেরে দলকে জয়ের দিকে অনেকটা এগিয়ে দেন জাই রিচার্ডসন। দু’বলে যখন ছ’রান দরকার, তখন প্যাট কামিন্স ফের চার মারেন উমেশের বলে। তাতেই জয়ের কাছে চলে আসে অস্ট্রেলিয়া।
শেষের আগের ওভারেই যশপ্রীত বুমরা মাত্র দু’রান দেয়ায় অস্ট্রেলিয়া বেশ চাপে পড়ে গিয়েছিল। তার প্রশংসা করে বিরাট এ দিন বলেন, ‘‘বুমরা বল হাতে চমকে দিতে পারে। বিশেষ করে যখন রিভার্স সুইং পায়। ও দুর্দান্ত বোলিং করে আমাদের ভাল জায়গায় নিয়ে এসেছিল। আর মাঝের ওভারগুলোতে মায়াঙ্ক মার্কণ্ডে ভালো বল করেছে।’’
নিজেদের ব্যাটিং নিয়েও খুশি নন বিরাট। বলেন, ‘‘১৫ ওভার পর্যন্ত উইকেট যথেষ্ট ভালো ছিল। কিন্তু আমরা সেই অনুযায়ী ভালো ব্যাটিং করতে পারিনি। টি-টোয়েন্টি ম্যাচে কম রান হলে যে কেউ জিততে পারে।’’ টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার কে এল রাহুল ৩৬ বলে ৫০ রান ও বিরাট ১৭ বলে ২৪ রান করেন। মহেন্দ্র সিংহ ধোনি শেষ পর্যন্ত ক্রিজে থাকলেও ৩৭ বলে ২৯ রান করেন। ঋষভ পন্থ পাঁচ বলে তিন রানের বেশি করতে পারেননি।
দলের তরুণ ব্যাটসম্যানদের নিয়ে বিরাটের মন্তব্য, ‘‘বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে রাহুল আর পন্থকে আরও খেলার সময় দিতে চাই। রাহুল ভাল ব্যাটিং করেছে। আমার সঙ্গে ওর একটা ভাল পার্টনারশিপ (৩৭ বলে ৫৫ রান) হয়। উইকেট যে রকম ছিল, তাতে দেড়শো রান তুলতে পারলে হয়তো ম্যাচটা জিততাম। তবে অস্ট্রেলিয়া আমাদের চেয়ে ভালো খেলেছে। জয়টা ওদের প্রাপ্য ছিল।’’
উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ বলেন, ‘‘উইকেটের গতি ক্রমশ কমে যায়। বলও নিচু হয়ে যাচ্ছিল।’’ ওপেনার ডার্সি শর্ট ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল এ দিন অস্ট্রেলিয়াকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরেও একাধিক রান আউট ও বুমরার আক্রমণে চাপে পড়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। যা নিয়ে ফিঞ্চ বলেন, ‘‘রান আউটগুলো চাপে ফেলে দেয় আমাদের। তবু জয়টা দারুণ। এই উইকেটেও ম্যাক্সি যা ব্যাটিং করেছে, তা অসাধারণ। আমাদের বোলাররা রিভার্স সুইং পাচ্ছিল। তা কাজে লাগিয়ে ওরা সমানে উইকেটে বল রেখে গেছে।’’
বুমরার মতো এ দিন নেথান কুল্টার নাইলও তিন উইকেট নেন। ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘প্রত্যেকেই ভাল বোলিং করেছি আমরা। বল ঠিকমতো ব্যাটে আসছিল না। তাই আমরাও লেংথ কমিয়ে বোলিং করি।’’