অল্প বয়সেই টাক? কারণ হতে পারে ভয়াবহ!

চুল ঝরে যাওয়া কিন্তু খুব একটা অস্বাভাবিক বিষয় নয়। পুরনো চুল ঝরে পড়বে, নতুন গজাবে, এমনটাই নিয়ম। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন যত পরিমাণ চুল ঝরে যায়, মোটামুটি ততগুলো চুলই আবার নতুন করে গজায়। এটাই স্বাভাবিক নিয়ম। কিন্তু কত পরিমাণ চুল ঝরছে আর কত পরিমাণে নতুন চুল গজাচ্ছে তার হিসেব কে রাখে! তাই অনেকেরই মনে হতে পারে, খুব বেশি চুল ঝরে যাচ্ছে। কারণ, অতিরিক্ত চুল ঝরে গিয়ে টাক পড়ে যাওয়ার একটা ভয় অনেকের মধ্যেই কাজ করে।

এ বিষয়ে চুল এবং চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ফ্রান্সেস্কো ফুস্কোর মতে, দৈনিক ৫০ থেকে ১০০টি চুল ঝরে যাওয়াটা স্বাভাবিক। তিনি জানান, চুল ঝরে যাওয়া অনেকটাই নির্ভর করে আবহাওয়ার ওপর। তবে আবহাওয়ার প্রভাব ছাড়াও আরো কয়েকটি কারণে মাত্রাতিরিক্ত চুল ঝরে গিয়ে টাক পড়ে যেতে পারে। আসুন এ বার চুল ঝরে গিয়ে টাক পড়ে যাওয়ার প্রধান ৪টি কারণ সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক…

বি ভিটামিন : ভিটামিন-বি-এর অভাব হলে চুলের স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে তা ঝরে যেতে পারে। যারা সবুজ শাক-সবজি বা ফল কম খান তাদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়।

রক্তাল্পতা : চিকিত্সকরা জানাচ্ছেন, অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতার সমস্যা থাকলে অধিক মাত্রায় চুল ঝরে যেতে পারে। সাধারণত মহিলাদের মধ্যেই এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। তবে অনেক পুরুষও রক্তাল্পতার সমস্যায় ভোগেন।

স্ট্রেস : অত্যাধিক কাজের চাপ, মাত্রাতিরিক্ত মানসিক চাপের ফলে সঠিক পরিমাণে ঘুম না হলে তার প্রভাব পড়ে আমাদের স্বাস্থ্যের ওপর। ফলে চুল ঝরে যাওয়ার সমস্যাও বাড়তে থাকে।

স্ক্যাল্পে ইনফেকশন : ব্যাকটেরিয়ার কারণে সংক্রমণ বা অ্যালার্জির কারণে মাথার ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চুলের গোড়া নরম আর দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে চুলের ফলিকল নষ্ট হয়ে গিয়ে অকালেই টাক পড়ে যায়।

যদি দেখেন, এক মাসেরও বেশি সময় ধরে মাত্রাতিরিক্ত চুল ঝরছে, সেক্ষেত্রে একটুও দেরি না করে ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শ নিন।

চুলে রং করেন? মুখ ফুলে যাওয়া থেকে সাবধান

বাজার থেকে চুলের রং কিনে এনে একটু লাগিয়ে দেখেছিলেন। পুরোটা ব্যবহারও করেননি। কিন্তু তাতেই যা হওয়ার হয়ে গেল। সম্প্রতি কলপের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় ফ্রান্সের ১৯ বছরের এক তরুণীর মুখ ফুলে ঢোল হয়ে গিয়েছিল। ওই তরুণীর নাম এস্তেলে। এক সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদনে বিষয়টি জানা গেছে।

এস্তেলে দাবি করেছেন, তিনি চুলের ওই কলপটি পরীক্ষা করার জন্য খুব সামান্যই ব্যবহার করেছিলেন। চুলে লাগানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই তার মুখ জ্বলতে শুরু করে। তারপরই তাঁর গোটা মুখখানিই অদ্ভুতভাবে ফুলে ওঠে। অ্যালার্জি রুখতে এস্তেলে অ্যান্টি-হিস্টামিন ওষুধও খেয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও মেলেনি স্বস্তি। মুখমণ্ডলের জ্বালা তারপরও ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। ফুলে ওঠার কারণে তার মুখমণ্ডলের আকার প্রায় তিন ইঞ্চি বেড়ে গিয়েছিল বলে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় তার শ্বাসপ্রশ্বাসেও সমস্যা হচ্ছিল। হাসপাতালে পুরো একদিন চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে থাকার পর তাঁর মুখের ফোলাভাব আস্তে আস্তে কমতে শুরু করে।

চুলের কলপ ও মেকআপ করার সামগ্রীতেও ‘পিপিডি’ বা প্যারা-ফিনাইলেডায়ামিন নামে এক ধরনের রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সেই রাসায়নিকের জেরেই এস্তেলের মুখের অবস্থা এ রকম হয়েছে।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top