উড়োজাহাজের ভেতরে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়া এক যাত্রীকে চিকিৎসার লক্ষ্যে পাইলট আরেক দেশে বিমান জরুরি অবতরণ করেও শেষ রক্ষা হয়নি। তার আগেই ওই নারীযাত্রী বিমানের ভেতর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন। পরে যাত্রীর লাশ ও ডেথ সার্টিফিকেট নিয়ে নির্ধারিত সময়ের সাড়ে ৪ ঘণ্টা বিলম্বে ফ্লাইটটি হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। গত বুধবার সকালে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়া লন্ডনগামী ফ্লাইটে এ ঘটনা ঘটে। তবে মারা যাওয়া ওই যাত্রীর নাম জানা সম্ভব হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ৪১৯ সিটের বোয়িং-৭৭৭-৩০০ ইআর ফ্লাইটটি লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করে। ফ্লাইটটি আকাশে ওড়ার কয়েক ঘণ্টা পর হঠাৎ প্রায় ৭০ বছর বয়সী এক নারীযাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় কেবিন ক্রুরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পরও অবস্থার অবনতি হতে থাকে। পরে ওই যাত্রীকে বাঁচানোর চেষ্টায় বিমানের পাইলট উড়োজাহাজটি আজারবাইজানের রাজধানী বাকো বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করান। কিন্তু তার আগেই যাত্রী মৃত্যুর কোলে ঢেলে পড়েন বলে বিমানের বলাকা ভবন সূত্রে জানা গেছে। এ অবস্থায় আজারবাইজানের হাসপাতাল থেকে যাত্রীর লাশ গ্রহণ ও ডেথ সার্টিফিকেট নিয়ে ফ্লাইটটি নির্ধারিত সময়ের সাড়ে ৪ ঘণ্টা বিলম্বে হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
গতকাল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা নয়া দিগন্তকে এ তথ্য জানিয়ে বলেন, বিমান কর্তৃপক্ষ ওই নারীযাত্রীকে বাঁচাতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। শুধু তাই নয় অন্য দেশে তাকে চিকিৎসার জন্য ফ্লাইটটি পাইলট জরুরি অবতরণও করেছিলেন। কিন্তু তারপরও তাকে বাঁচানো যায়নি। যাত্রী বিমানের ভেতরেই মারা গেছেন। কি কারণে যাত্রী মারা গেছেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, হার্টঅ্যাটাকে তার মৃত্যু হতে পারে। তিনি বলেন, পাইলট উড়োজাহাজটি অন্য দেশে জরুরি ল্যান্ড করার কারণে ল্যান্ডিং চার্জ, পাকিং চার্জ মিলিয়ে বিমানের পাঁচ-ছয় লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। গত রাতে বিমানের মুখপাত্র শাকিল মেরাজের সাথে এ বিষয়ে আরো তথ্য জানতে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।