সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ ইমরানের

ইমরান খান তার বক্তব্যে বলেন, নতুন পাকিস্তান যে তার জনগণকে রক্ষা করতে সক্ষম এবং এ ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ তা আমরা দেখিয়ে দিতে চাই। ইমরান খানের নির্দেশের জবাবে এ সময় সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা জানান, পাকিস্তানকে রক্ষা করতে তারা পুরোপুরি সক্ষম।

বৈঠক শেষে এক বিবৃতিতে বলা হয়, পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীকে, ভারতের যে কোনো আগ্রাসন বা অপচেষ্টার ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট ও ব্যাপকভাবে জবাব দিতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে অনুমতি দেয়া হয়েছে।

এর আগেও ইমরান খান যখন এ ব্যাপারে কথা বলেছিলেন, তখন হুমকি দিয়েছিলেন, ভারত কোনো কিছু করলে পাকিস্তান চুপ করে বসে থাকবে না। তারাও এর পাল্টা জবাব দিতে পারে।

কাশ্মিরের পুলওলামায় আত্মঘাতী বোমা হামলায় সিআরপিএফের ৪৪ সদস্য নিহত হওয়ার পর পাকিস্তানকে দোষারোপ করে ভারত। বিভিন্ন মহলে তারা চেষ্টা চালায় পাকিস্তানকে এক ঘরে করার। তাতে সফল না হয়ে অর্থনৈতিকভাবে পাকিস্তানকে দুর্বল করার জন্য ভারতে পাকিস্তানের বাণিজ্যের বিশেষ সুবিধা বাতিল করে এবং পাকিস্তান থেকে আসা সব পণ্যের ওপর দুইশ শতাংশ শুল্কারোপ করে।

পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ভারতের এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে পাল্টা হুমকি দেন ইমরান খান। তিনি বলেন, পাকিস্তান কোনোভাবেই এ হামলার সাথে জড়িত নয়। ভারতে কোনো কিছু হলেই তারা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আঙ্গুল তুলে থাকে। এ হামলায় যদি পাকিস্তান সম্পৃক্ত থাকে, তাহলে এর প্রমাণ আমাদের দিন, আমরা এ ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নেব।

কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানকে এখনো পর্যন্ত এ ধরনের কোনো প্রমাণ পেশ করা হয়নি। তবে ভারত সফরের সময় সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে দিল্লি এ ধরনের কিছু প্রমাণপত্র দেখিয়েছে বলে জানা গেছে। এর প্রতিক্রিয়ায় অবশ্য সৌদি যুবরাজ পাকিস্তানকে সরাসরি দায়ী করে কিছু বলেননি। বরং তিনি এ অঞ্চলের শীর্ষ সমস্যা হিসেবে সন্ত্রাসবাদকে চিহ্নিত করে তা সমাধানে প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে কাজ করার জন্য ভারতের প্রতি আহ্বান জানান।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পুলওলামার হামলার ঘটনায় পাকিস্তানকে দায়ী করে বলেছিলেন, আমরা আমাদের সেনাবাহিনীকে সম্পূর্ণ ক্ষমতা দিয়ে দিয়েছি, তারা যখন ও যেভাবে উপযুক্ত মনে করে ব্যবস্থা নেবে। তার এ বক্তব্যের পর এ পর্যন্ত অবশ্য ভারতের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তেমন কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি।

এদিকে পুলওয়ামার ঘটনার মূল হোতা কামরানকে এক অভিযানে হত্যা করে ভারতীয় বাহিনী। অবশ্য এ সময় তাদের সাথে বন্দুকযুদ্ধে ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনীর এক মেজরসহ চার সদস্য নিহত হয়।

সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই বৃহস্পতিবার ভারতের গোয়েন্দারা এমন কিছু মেসেজের সন্ধান পান, যাতে মনে করা হচ্ছে, পুলওলামা বা তার আশেপাশে আবারো বড় ধরনের কোনো হামলার পরিকল্পনা করছে কোনো সংগঠন। ফলে এর আশেপাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top