হাই প্রোফাইল এশিয়া ভিজিটের অংশ হিসেবে বুধবার ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লিতে রয়েছেন সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। দুই দিনের পাকিস্তান সফর থেকে দেশে ফিরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি দিল্লি যান। বুধবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন এমবিএস।
যৌথ বিবৃতিতে সৌদি যুবরাজ বলেন, সন্ত্রাসবাদ সবচেয়ে বড় চিন্তার বিষয়। ভারত ও প্রতিবেশী অন্য দেশগুলির সাথে আমরা এ নিয়ে আলোচনা করে একসঙ্গে কাজ করবো। তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদ সবার জন্য অভিন্ন হুমকি। এটি প্রতিরোধ করতে হবে। গোয়েন্দা তথ্য লেনদেনসহ সন্ত্রাস দমনে দিল্লির সাথে সহযোগিতামূলক কাজ করবে রিয়াদ।
নরেন্দ্র মোদী বলেন আমরা দু’ পক্ষই একটা ব্যাপারে সম্মত হয়েছি যে সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করার প্রশ্ন নেই। যে সমস্ত দেশ সমর্থন করে তাদের পাশে থাকার কোনও দরকার নেই।
সকালে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে সৌদি যুবরাজ, বলেন ভারতের সঙ্গে সু সম্পর্ক রাখা আমাদের দীর্ঘ দিনের পরম্পরা। এদিন সকালে নরেন্দ্র মোদিও এমবিএসের সফরকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত টুইট করেন। তিনি লেখেন, বিন সালমানকে দেশে স্বাগত জানাই। এই সফরের মাধ্যমে দু’ পক্ষের সম্পর্ক আরও ভাল হবে।
সৌদি যুবরাজ ভারতে আসার সময় প্রোটকল ভেঙে তাকে স্বাগত জানাতে বিমান বন্দরে পৌঁছে যান মোদি। দেশের মাটিতে নামতে না নামতেই তাকে আলিঙ্গন করেন মোমি।
কাশ্মিরে আত্মঘাতি হামলার জন্য দায়ী করে পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে চাপে ফেলার চেষ্টা করছে ভারত। এরই মাঝে পাকিস্তানে বড় অঙ্কের বিনিয়োগ করেন সৌদি যুবরাজ। ইসলামাবাদে গিয়ে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমিত করতে দিয়ে আলোচনার উপর জোর দেন। ভারতে এসেও একই কথা বলেন তিনি।
আত্মঘাতি হামলার পর জইশ নেতা মাসুদ আজাহারকে জাতিসঙ্ঘ ঘোষিত উগ্রবাদী তকমা দেওয়ার দাবি জানায় ভারত। এই বিষয়টিও উঠে আসে বিন সালমানের সাথে মোদির যৌথ বিবৃতিতে। তবে সৌদি আরব চায় এই বিষয়টি রাজনৈতিক কারণে ব্যবহারে করা উচিত নয়।
এই সফরে ভারত ও সৌদি আরবের মধ্যে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। বিনিয়োগ বৃদ্ধি, পর্যটন, গৃহায়ন, তথ্য ও সম্প্রচার খাতে এই সমঝোতাগুলো হয়েছে। এছাড়া প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্যও একমত হয়েছে দেশ দুটি। যদিও এ বিষয়ে কোন চুক্তি বা সমঝোতা সই হয়নি।
সৌদি যুবরাজ ভারত, পাকিস্তান সহ এশিয়ার তিনটি দেশে সফর শুরু করেছেন। ভারত সফর শেষে তার চীনে যাওয়ার কথা।