বগুড়ার শেরপুরে অপহরণ নাটকের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে অপহরণকারী শিক্ষক মেহেদী হাসান জনিকে বিয়ে করলেন অপহৃত শিক্ষিকা রুমানা খাতুন। পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে জবানবন্দি দেয়া হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের চকধোলী গ্রামের মৃত মোজাহার আলীর মেয়ে চকধোলী-চক কল্যানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা রুমানা খাতুনকে একই গ্রামের মৃত সামছুদ্দিন বুলুর ছেলে ওই বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মেহেদি হাসান জনি গত সোমবার বিকেল ৩টার দিকে জরুরি কাজের কথা বলে অফিস থেকে বিদ্যালয়ের মাঠের ভিতর নিয়ে যান। সেখানে থেকে তাকে জোর করে মাইক্রোবাসে তুলে রংপুরে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ওই শিক্ষিকার বড় ভাই ইসমাইল হোসেন বাদশা ওই দিন রাত ৯টার দিকে শিক্ষক মেহেদি হাসান জনিসহ অজ্ঞাত ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে শেরপুর থানায় একটি অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন। মামলা থেকে রক্ষা পেতে অভিযোগের এক দিন পর তারা নিজেরাই বিয়ে করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শেরপুর সার্কেল) মো. গাজিউর রহমানের কাছে আত্মসমর্পণ করে শিক্ষিকা রুমানা খাতুন বলেন, আমাদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। সেই সম্পর্ক পরিবার থেকে মেনে না নেয়ায় অন্যত্র গিয়ে আমরা বিয়ে করেছি।
শিক্ষিকা রুমানা খাতুনের বড় ভাই ইসমাইল হোসেন বাদশা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এ ব্যাপারে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, ওই শিক্ষক-শিক্ষিকার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে তা শিক্ষিকার ভাই ইসমাইল হোসেন বাদশা মেনে না নেয়ায় তারা অপহরণের নাটক করেছিলেন।