ক্রিকেট ভদ্রমানুষের খেলা। কিন্তু কখনো কখনো তা রূপ নেয় অভদ্রতায়। আবারো এমনি একটি প্রমাণ পাওয়া গেলো নিউজিল্যান্ডের ক্লাব ক্রিকেটে। আম্পায়ারের একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে তা গড়িয়েছে মারামারি পর্যন্ত। খেলোয়াড়ের উপর্যুস্ত লাথি ও মার খেয়েছেন সে আম্পায়ার।
মঙ্গলবার নিউজিল্যান্ডের পারাপারাউমু-ওয়ারারোয়া নামে দু’টি ক্লাবের খেলায় এ ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটে। পারাপারাউমু ক্লাবের এক খেলোয়াড় ছিলেন আম্পায়রের ভূমিকায়। ম্যাচ চলাকালীন সময় সেই খেলোয়াড় কাম আম্পায়ারের একটি সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি ওয়ারারোয়ার খেলোয়াড়রা। একপর্যায়ে আম্পায়ারের সাথে হাতাহাতি হওয়ার সময় এক খেলোয়াড় তাকে মাথায় লাথি মারেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে নিউজিল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম ‘স্টাফ’ জানিয়েছে, গোটা ব্যাপারটি ছিল ‘ভীষণ আক্রমণাত্মক!’
তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, আম্পায়ারকে এক খেলোয়াড় আচমকা ঘুষি মেরে ফেলে দেওয়ার পর তাকে তিনটি লাথি মেরেছেন অন্য খেলোয়াড়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ওয়ারারোয়ার খেলোয়াড়দের আচরণ ছিলো খুবই ‘জঘন্য’। তাদের লাথিতে আম্পায়ারের নাক ভেঙে যায় ও গালের কিছু অংশ কেটে যায়।
পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের জনসংযোগ কর্মকর্তা রিচার্ড বুক জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে। ক্রিকেট ভদ্র মানুষের খেলা। এমন ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না।
উল্লেখ্য যে, নিউজিল্যন্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে অফিসিয়াল আম্পায়ারের ঘাটতি রয়েছে। প্রায়ই খেলোয়াড়দের আম্পায়ারের ভূমিকায় দেখা যায়।